Operation Sindoor: ভারতের প্রত্যাঘাত! অপারেশন সিঁদুর! পহেলগাঁওয়ের বদলা! হাহাকার পাকিস্তানে। ভারতের বিরুদ্ধে সমস্ত কৌশল ব্যর্থ। পাক মূল ভূ-খণ্ডে ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্করের সদর দফতর সহ লস্কর ও জইশের ৯ জঙ্গিঘাঁটি ধূলিসাৎ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা-বায়ুসেনা। আর তারপরই পালটা ভারতের মাটিতে আঘাত হানতে চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই চেষ্টাও ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারত।
নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সিঁদুর অভিযানে ১০ জন ভারতীয় নিহত হওয়ার পর উত্তপ্ত সীমান্ত।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্বিচারে গুলিবর্ষণে ১০ জন নিহত হওয়ার পর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নিরস্ত্র লোকেদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং ব্যাপক নিরীহ লোকের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিদুঁর’ শুরু করেছে রাত থেকে। পাকিস্তান, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা করেছে ভারতীয় সেনা। লশ্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদিন এবং জইশ-ই-মহম্মদের উপর হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে সংবাদমাধ্ম সূত্রে।
আরও পড়ুন: India Pakistan War: ভারতের ব্রহ্মাস্ত্রে নিকেশ পরিবারের ১৪! ‘কেন মরে গেলাম না’, বিলাপ জঙ্গি মাসুদ আজহারের…
২২শে এপ্রিল পহেলগাঁওতে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ‘অপারেশন সিদুঁর’ চালানোর কয়েক ঘন্টা পরেই এই ঘটনা ঘটে। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক।
সূত্র অনুসারে, শাহ, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সেনানায়ক দলজিৎ সিং চৌধুরী, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে থাকা নিরীহ নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন যে, ‘তাদের নিরাপত্তা ভারতের অগ্রাধিকার।’
প্রতিরক্ষা সূত্রের মতে, সেনাবাহিনী আন্তঃসীমান্ত গুলিবর্ষণের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, কুপওয়ারা এবং রাজৌরি-পুঞ্চ সেক্টরে একাধিক পাকিস্তানি সেনা পোস্টে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে এবং ব্যাপক সামরিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে যে, উভয় দেশের সীমান্ত থেকেই তীব্র গোলাগুলির আক্রমণ চলছে।
আরও পড়ুন: India Pakistan War: গভীর রাতের অতর্কিত আক্রমণে মাত্র কয়েক মিনিটেই পাকভূমের ৯০ জঙ্গি নিকেশ! ‘সিঁদুরে’র কৌটো থেকে পাকিস্তানে ধেয়ে গেল রক্তাক্ত অভিশাপ…
এই তিনটি প্রধান সন্ত্রাসী সংগঠন – লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি), হিজবুল মুজাহিদিন এবং জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) – এর সাথে যুক্ত ছিল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল