NOW READING:
হাইঅ্যালার্ট জারি, ভয়ে বুক কাঁপে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের, ‘যদি যুদ্ধ হয় বাঁচব কী করে?’
May 6, 2025

হাইঅ্যালার্ট জারি, ভয়ে বুক কাঁপে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের, ‘যদি যুদ্ধ হয় বাঁচব কী করে?’

হাইঅ্যালার্ট জারি, ভয়ে বুক কাঁপে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের, ‘যদি যুদ্ধ হয় বাঁচব কী করে?’
Listen to this article


সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের চলছে যুদ্ধের তোড়জোড়। জারি রয়েছে হাইঅ্যালার্ট। এই অবস্থায়  আমাদের রাজ্য়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর কী অবস্থা? বিশেষ করে BSF-এর সাউথবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারে কতখানি এলাকায় এখনও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়নি? কী বলছে BSF? বনগাঁ, বাগদা থেকে স্বরূপনগর- কেমন আছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা? গ্রাউন্ড জিরো থেকে এবিপি আনন্দের রিপোর্ট।  

আরও পড়ুন, প্রত্যাঘাত সময়ের অপেক্ষা ? সমুদ্রপৃষ্ঠে মাল্টি ইনফ্লুয়েন্সড গ্রাউন্ড মাইনের সফল পরীক্ষা !

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাসিন্দা ভবানী দেবনাথ বলেন, বর্ডারে থাকা মানে আতঙ্ক ছাড়া কিছুই না। কখন কী হয়, বলার আছে! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এখন সংঘাতের আবহ!যুদ্ধের আবহে সীমান্ত এলাকায় বাঙ্কার পরিস্কার করতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এখন বাংলাদেশ সীমান্তও অত্য়ন্ত স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে নয়াদিল্লির কাছে। কারণ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মসনদে থাকাকালীন পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি এই রুট ব্য়বহার করতে পারত না।

কিন্তু এখন বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা তুঙ্গে…ইউনূস প্রশাসনও পাকিস্তানের কাছাকাছি আসতে চাইছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অন্য়তম প্রধান সমস্য়া হল, কাঁটাতারবিহীন এলাকা! দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে ৯১৩ কিমি স্থলসীমান্তের সঙ্গে প্রায় ৩৬৪ কিমি (৩৬৩.৯) জল সীমান্ত রয়েছে।জল সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া সম্ভব নয়। আর স্থল সীমান্তেও কাঁটাতারহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৫৩৮ কিমি এলাকা।
 
বাগদার রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা।  এপারে ভারত। ওপারে বাংলাদেশের যশোর জেলা। মাঝে কাঁটাতার নেই।সীমান্ত চিহ্নিত করেছে কোদালিয়া নদী। সুমন সরকার নামে এক বাসিন্দা বলেন, একটা গ্রাম পুরো খোলা। খোলা বর্ডার। প্রায় ২ কিলোমিটার, আড়াই কিলোমিটার। খোলা বর্ডার। লোক চলে আসত। অনেক আগে আসত। এখন খুব কম আসে। এখন ডবল লাইট লাগানো আছে। বাগদার মতো বনগাঁর ট্যাংরা পঞ্চায়েত এলাকাতেও একই ছবি। BSF-এর কড়া পাহারা থাকলেও, এখানেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত নেই কাঁটাতার। আতঙ্কে থাকেন আপনারা? এবিপি আনন্দ এর প্রশ্নের উত্তরে অপর এক বাসিন্দা ভবানী দেবনাথ বলেন, ‘১০০ বার, বর্ডারে থাকা মানে আতঙ্ক ছাড়া কিছুই না। কখন কী হয়, বলার আছে! ‘
গাইঘাটার গড়জালা গ্রামের ওপারে বাংলাদেশের যশোর জেলা। 

বিএসএফের কড়া নজরদারি রয়েছে। কিন্তু তাও সন্ধে নামলেই ভয়ে বুক কাঁপে বাসিন্দাদের!গাইঘাটা গড়জালার বাসিন্দা  সাহেব বিশ্বাস বলেন , যদি যুদ্ধ হয় আমরা বাঁচব কী করে? ফেন্সিং হলে আমরা যথেষ্ট নিরাপত্তায় থাকব। তারকাঁটা নেই ওই জন্য তো মাল যাচ্ছে আসছে কোনও ব্যাপার নয়। জঙ্গি এসে মার্ডার করে দিয়ে চলে যাবে, আমরা কী করব? বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, অরক্ষিত সীমান্তের অনেক জায়গাতেই কাঁটাতার দেওয়ার প্রধান বাধা হল জমি নিয়ে সমস্যা। সেগুলো দ্রুত মেটানো হবে। তবে এর জন্য সীমান্তে নজরদারিতে কোনও আপস করা হবে না। 

আরও দেখুন



Source link