জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরেই পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে বসবাস করা বিতর্কিত নাগরিক সীমা হায়দারের বাড়িতে ভাংচুর করা হল। কয়েকদিন ধরেই সীমা হায়দারকে পাকিস্তানে পাঠানোর দাবি উঠেছে। ভারত সরকার পহেলগাঁও হামলার পর ভারতে বসবাসকারী সব পাকিস্তানিদের দ্রুত দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এই সময় সীমা হায়দার এবং তাঁর স্বামী সচিন মীনার বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। বাড়ি ভাংচুরও করে। খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘তেজস’ নামে অভিযুক্ত ব্যক্তি গুজরাটের বাসিন্দা এবং মানসিক রোগে ভুগছেন।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় তেজস অভিযোগ করেন যে সীমা হায়দার এবং শচীন মীনা ‘কালো জাদু’ করেছিলেন। তিনি বলেন যে, দম্পতি কালো জাদু ব্যবহার করে তাকে রাবুপুরায় টেনে নিয়ে যায়।
২০১৯ সালে অনলাইন গেম খেলার সময় হায়দার এবং মীনার মধ্যে যোগাযোগ হয় এবং অবশেষে তারা দুজন প্রেমে পড়ে।
ইতোমধ্যেই সীমার স্বামী পাকিস্তানে বসবাসকারী ব্যক্তি ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে, তিনি দীর্ঘদিন তাঁর সন্তানদের ছেড়ে রয়েছেন। তাই দ্রুত সীমা-সহ তাঁর সন্তানদের দেশে ফেরানো হোক।
হায়দার ২০২৩ সালের মে মাসে করাচিতে তাঁর বাড়ি ছেড়ে ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে সন্তানদের নিয়ে অবৈধভাবে ভারতে আসে। জুলাই মাসে, কর্তৃপক্ষ তাকে উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার রাবুপুরা এলাকায় মীনার সাথে বসবাস করতে দেখে।
আরও পড়ুন :Surat Teacher Kidnapped Student: ২৩-এর শিক্ষিকা কামের টানে পালাল! ১১-এর ছাত্রকে নিয়ে হোটেলের ঘরে চলল শরীরী…
তবে সীমা হায়দারের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে হায়দার সনাতন ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং গ্রেটার নয়ডায় বসবাসকারী ভারতীয় সচিন মীনাকে বিয়ে করেছেন। তিনি আরও বলেন যে তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন যে অসুস্থ এবং সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
পরে হায়দার একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন, ‘আমি মোদিজি এবং যোগীজির কাছে আবেদন করছি যে আমি এখন তাদের আশ্রয়ে আছি। আমি পাকিস্তানের মেয়ে ছিলাম, কিন্তু এখন আমি ভারতের পুত্রবধূ। আমাকে এখানে থাকতে দিন।’
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল