NOW READING:
East Bengal | Mamata Banerjee: ‘বিয়ের দিন ডেকরেটারকে ডাকলে হবে!’ পেপটকের সঙ্গেই লাল-হলুদকে ৫০ লাখ মুখ্যমন্ত্রীর..
April 24, 2025

East Bengal | Mamata Banerjee: ‘বিয়ের দিন ডেকরেটারকে ডাকলে হবে!’ পেপটকের সঙ্গেই লাল-হলুদকে ৫০ লাখ মুখ্যমন্ত্রীর..

East Bengal | Mamata Banerjee: ‘বিয়ের দিন ডেকরেটারকে ডাকলে হবে!’ পেপটকের সঙ্গেই লাল-হলুদকে ৫০ লাখ মুখ্যমন্ত্রীর..
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাম্প্রতিক সময়ে যদি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) পারফরম্যান্স দেখা যায়, তাহলে তা একেবারেই শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাবের, দেশ-বিদেশের  ট্রফি সমৃদ্ধ বায়োডেটার সঙ্গে খাপ খায় না|  শেষ পাঁচ মরসুম আইএসএল খেলেও, কখনই ইস্টবেঙ্গল লিগ জেতার ধারেকাছে যায়নি। এমনিই দুর্ভাগ্য যে, দেশের এক নম্বর লিগের প্লে-অফও খেলা হয়নি লাল-হলুদের| সবে ধন নীলমণি বলতে ওই গতবার সুপার কাপ| 

আরও পড়ুন:  Pahalgam Terror Attack | India-Pakistan: ভূ-স্বর্গে জঙ্গি হামলা; যুদ্ধের আবহে ফুটছে দুই দেশ, নীরজের পাক বন্ধুর চাঞ্চল্যকর…

ইস্টবেঙ্গলের ছেলেরা যা পারেনি, তা করে দেখিয়েছে মেয়েরা| ইতিহাস লিখে তারা আই লিগ জিতেছে, কিছুদিন আগে| ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন ঘিরে একাধিক অনুষ্ঠান হচ্ছে| বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যায় লাল-হলুদে মোড়া রবীন্দ্র সদন চত্বরে তেমনই সেলিব্রেশনের ছবি ফিরল| এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্যই ছিল-গৌতম ঘোষের তৈরি ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের তথ্যচিত্র-‘শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল’-এর উদ্বোধন এবং ইন্ডিয়ান উইমেন লিগ জয়ী, ভারতসেরা ইস্টবেঙ্গলকে সংবর্ধনা| সবটাই হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে| তিনিই ছিলেন এদিনের প্রধান অতিথি| আর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় সব আলো মমতাই কেড়ে নিলেন| লাল-হলুদ মহিলা দলকে সরকারের তরফে বিশেষ ট্রফি ও ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি, দিলেন আগুনে মন্ত্র| 

দেখতে দেখতে ইস্টবেঙ্গল-ইমামির গাঁটছড়ার তিন বছর হয়ে গেল| ক্লাব ও ইনভেস্টরের মধ্যে যোগসূত্র ছিলেন মমতাই| স্মৃতিচারণা করে তিনি বললেন, ‘মোহনবাগান তো সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে পেয়ে গেল, অঢেল টাকা! টুম্পাইরা ভালোই ম্যানেজ করেছে| মহামেডানও নিজেদের ব্যবস্থা করে নিল| যাক আমার সাহায্যের আর প্রয়োজন নেই| কিন্তু ইস্টবেঙ্গল যখন আমার কাছে এল, তখন আমি ভাবলাম ইমামির কথা| ওদের প্রচুর বিজ্ঞাপন দেখতাম| তেল-মশলা, ও অনেক প্রোডাক্ট আছে| তা আমি ভাবলাম ওদের কেন দল থাকবে না! এখন তো আদানি-আম্বানি সবাই দল করছে| আমি একজনের মারফত ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করি|’ 

ইস্টবেঙ্গল-ইমামিকে কড়া বার্তা দিয়ে মমতা আরও বললেন, ‘আমি ইমামিকে বলব, ‘আগে আপনারা সঠিক খেলোয়াড় বাছুন| জানেন তো সমর্থকদের দুঃখ হয়| ওদের কথা ভাবুন| ইমামিকে আমি একা দোষ দেব না| ইস্টবেঙ্গল কর্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে| কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হবে| ভালো আর খারাপ প্লেয়ারের ফারাক করতে হবে| বিয়ের দিন ডেকরেটারকে ডাকলে হবে? তাকে তো আগে থেকে বলতে হবে| তবেই না মনের মতো হবে| এক বছর সময় নিন| টার্গেট সেট করুন| আগামী দিনে এই পরিস্থিতি বদলাতে হবে| ইতিবাচক ভাবুন| ইমামিকে গিফট দিতে হবে না, ট্রফিই হবে গিফট| ইমামি গ্রুপ টাকা দিচ্ছে এত, ওদেরকে জেতাও। ওদেরকে কিছু দিতে হবে না, মিষ্টি খাওয়াতে হবে না, কেক দিতেও হবে না। ওরা ট্রফিটাই চায়| ১০০ বছরে না ভাবলে, ক্লাবের ডাবল সেঞ্চুরিতে কী করবেন! প্ল্যান করে বোল্ড করতে হবে| পারলে একটা প্ল্যান করার অ্যাকশন কমিটি বানান| বিভিন্ন খেলোয়াড়দের থেকে সাহায্য নিন|’ 

মোহনবাগান এবং ডায়মন্ড হারবার এফসি-র থেকেই কার্যত লাল-হলুদকে শিখতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী|  তাঁর সংযোজন, ‘দেখুন ডায়মন্ড হারবার আই-লিগ খেলবে|  মোহনবাগান আইএসএসল চ্যাম্পিয়ন হল| তাহলে ভালো দল তো গড়তেই হবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গেলে| সবাই বাংলার দল, সবাই ভালো করলেই আমার ভালো লাগে| আপনারা এগিয়ে যান| বাংলার ছেলে-মেয়েদের গড়ে তুলুন| যতদিন না হচ্ছে, ততদিন বাইরে থেকে নিন| আমি পায়ে বল নাচাতে পারলে আপনারা পারবেন না? আপনারা তো প্লেয়ার| সে আমি গঙ্গায় সাঁতার কেটেছি, ডাঙ্গুলি-পিট্টু খেলি, মাঝে মধ্যে ক্রিকেটও খেলি| আপনারা ভালো করে ব্র্যান্ডিং করুন| এগিয়ে যান| এরকম একটা শুভ দিনে অনেক কিছু বলে ফেললাম! না বললেও পারতাম| বাবা বলত, অপ্রিয় সত্য বলিস না, আউট স্পোকেন হস না| বাবার ওই কথাটা আজও রাখতে পারলাম না| আমি বলে ফেলি| বলি ভালোর কথা ভেবেই| আর হ্যাঁ, আমার তরফ থেকে একটা ছোট্ট উপহার রয়েছে| ইস্টবেঙ্গল মহিলা দলের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার চেক রইল| অনেক শুভকামনা|’ 

এদিন বাংলার ক্রিকেট ও ফুটবল মিশে গিয়েছিল| মঞ্চে ইস্টবেঙ্গল, ইমামির কর্তাদের সঙ্গেই ছিলেন মোহনবাগান ও মহামেডানের কর্তারা|  ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন| এসেছিলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়| ছিলেন পরিচালক গৌতম ঘোষের সঙ্গেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়|

মুখ্যন্ত্রী সিএবি-কে বার্তা দিয়ে বলেন, ‘ আমি স্নেহাশিসকে বলব, তোমরা ডুমুরজলায় একটা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি করে নাও। ওটা তোমাদের জন্য রাখা আছে। জানি কিছু কেস টেস হয়েছে, তবে ঝামেলায় জড়িয়ে লাভ নেই। অনেকে আবার কেস টেস করতে ভালোবাসে। তোমরা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি কর। রাজারহাটেও ফুটবল স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল, ১৫ একর জমি আছে| ৩ বছর অপেক্ষা করা যায়। তারপর রাজ্য সরকার জমি নিয়ে নেয়| ৮ বছর হয়ে গেছে, এখনও ফুটবল স্টেডিয়াম হল না সেখানে। তাই আরেকটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম তোমরা করো, ইডেনের উপর চাপ পড়ে যায়| একটাই স্টেডিয়াম| আমরা জমির ব্যাপারে সাহায্য করব। আইন মেনেই সব হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী এদিন খুশি হয়েছেন এটা দেখে যে, ময়দানে তিন ক্লাব লড়াই করলেও, এদিন সকলেই মঞ্চে|

আরও পড়ুন:  Gautam Gambhir gets death threat: ‘তোমায় এবার…’! গম্ভীরকে ভয়ংকর হুমকি ISIS কাশ্মীরের…





Source link