জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিগ ব্রেকিং! সত্যিই বড় খবর! সুখবরও। আর সেটা এলও বাংলা নববর্ষের ঠিক পরেই। এসএসসি মামলায় সাময়িক স্বস্তি মিলল চাকরিহারা শিক্ষকদের। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের তাঁদের কাজের সুযোগ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শিক্ষকদের চলতি শিক্ষাবর্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে এই রায় এল বলে মনে করা হচ্ছে।
নবম-দ্বাদশ পর্যন্ত শিক্ষকদের কিছুটা স্বস্তি। চলতি শিক্ষাবর্ষে আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন তাঁরা। এর মধ্যে সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। আগামী ৩১ মে-র মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং অশিক্ষক কর্মীদের অবশ্য কোনো স্বস্তি নেই। পাশাপাশি রাজ্যের আবেদনও গৃহীত হল। এখনও পর্যন্ত যাঁরা যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত, তাঁরাই কাজে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Puri Temple Flag: অলৌকিক! স্বয়ং জগন্নাথ এবার বড় কী ঘটাতে চলেছেন? বিষ্ণুর বাহন গরুড়ের কোনও লীলা কি এটা?
আরও পড়ুন: Shani Shadashtak Yog: শনি-মঙ্গলের অতি বিরল যোগে তৈরি ‘ষড়ষ্টক রাজযোগে’ সৌভাগ্যের চূড়ায় এই রাশির জাতকেরা, টাকার বন্যা বইবে…
প্রসঙ্গত, গতকাল থেকেই বিষয়টি নিয়ে সকলে সজাগ ছিলেন। কী হয়? এত জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী হঠাৎ চলে গেলে স্কুল চলবে কী করে? মধ্যশিক্ষ পর্ষদের আবেদনও ছিল এই মর্মেই। আর সেই আবেদনের ভিত্তিতে ফের সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হল আজ, বৃহস্পতিবার।
এসএসসি মামলার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেল। চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষকের। শীর্ষ আদালতেরই দ্বারস্থ হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাদের আবেদনে উল্লেখ ছিল, এই রায়ে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। অনেক স্কুলে পড়ানোর মতো শিক্ষকই থাকবেন না। রাজ্যের ৯,৪৮৭টি উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং ৬,৯৫২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে শিক্ষক-সংকট তৈরি হবে বলে জানানো হয়েছিল।
আজ, বৃহস্পতিবা সেই মামলাটিরই শুনানি হতে পারে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ, সেটা জানাই ছিল। বুধবার সন্ধ্যায় যে তালিকায় প্রকাশ্যে এসেছিল, সেই তালিকায় ৩৫ নম্বরে ছিল মামলাটি। গতকালই মনে করা হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট যদি রায় পুনর্বিবেচনা করতে রাজি হয়, তবে বড়সড় স্বস্তি পাবেন চাকরিহারারা। উল্টোটা হলে সব আইনি পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যাঁদের চাকরি দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ‘চিহ্নিত অযোগ্য’। তাঁদের বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকিদের, অর্থাত্ যাঁরা ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ নন, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে না। পর্ষদের আবেদন, যাঁরা ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ নন, এমন শিক্ষকদের চলতি শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত বা নতুন নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত চাকরি থাক। দেখা গেল, সুপ্রিম কোর্ট সেটাতেই সিলমোহর দিল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)