<p><strong>বহরমপুর :</strong> ওয়াকফ অশান্তিতে তপ্ত মুর্শিদাবাদ। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। অশান্তির ঘটনায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে গেলেন অধীর চৌধুরী। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানাও করেন কংগ্রেস নেতা।</p>
<p>হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, "ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জের ঘটনা বাইরে থেকে যা দেখা যাচ্ছে, তার থেকে অনেক গভীর। অনেক মানুষ সেখানে আহত হয়েছেন। তার তথ্য দিচ্ছে না প্রশাসন, সরকার। আমি আজ হাসপাতালে এসেছিলাম অনেক খোঁজ পেয়ে। সেখানে সামশেরগঞ্জের ঘটনায় গুলি খাওয়া তিনজনকে দেখলাম। একজনের ১১ থেকে ১২ বছর বয়স। বাচ্চা ছেলে। তার ডানদিকের কিডনিটা বাদ হয়ে গেছে অলরেডি। তাকে দেখা যাচ্ছে না। সে বসতে পারছে না, শুতে পারছে না, দাঁড়াতে পারছে না। শুধু কাঁদছে। আর দুজনের মধ্যে একজনের গুলি বের হয়েছে। আর একজনের হয়নি। ডাক্তাররা বলছেন, গুলি বের হতে সময় লাগবে। অল্প বয়সি ছেলে। তার মধ্যে একটা ছেলে আবার বলছে আমি মায়ের ওষুধ আনতে গিয়েছিলাম দোকানে।" </p>
<p>এই ইস্যুতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, "দেশজুড়ে আজ মুর্শিদাবাদ, মুর্শিদাবাদ, মুর্শিদাবাদ। যেন মুর্শিদাবাদ আফগানিস্তান হয়ে গেছে। আখেরে তা নয়। সেইজন্য বলছি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আপনি আসুন। আপনি স্পট ভিজিট করুন। আপনি তো ঘুরতে ভালবাসেন। পদ্মার ধারে বসে কবিতা লিখবেন। আপনার প্রতিনিধি মণ্ডল হাথরাস যায়, মণিপুর যায়…কেন জঙ্গিপুরে আসতে লজ্জা লাগছে ? না আসতে পারছে না? না গাড়িভাড়া নেই ? কোনটা ? আপনার কাছে এখন প্রাথমিকতা হয়ে গেল কালীমন্দির, শিবমন্দির, কোথায় আকাশে হাঁটার পথ আপনার কাছে প্রাথমিকতা পেল। এখানকার মানুষের দুরবস্থা আপনার কাছে প্রাথমিকতা পেল না ! কেন ?" </p>
<p>পাল্টা জবাব দিয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর । তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী সময় হলে নিশ্চয়ই আসবেন। মুখ্যমন্ত্রী বন্যা কবলিত বা আক্রান্ত পরিবারের পাশে থাকেন। এর আগে আপনারা দেখেছেন, জঙ্গিপুরে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে…কাশ্মীরে সম্ভবত…আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর তখন সাগরদিঘিতে মোড়গ্রামে হেলিকপ্টার দিয়ে ববি হাকিমকে পাঠিয়েছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী পুরো তাঁদের পরিবারের পাশে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব, উনি আসুন বা না আসুন …কিন্তু উনি যাতে এই যে তিনজন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন …এঁদের যাদে আর্থিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ দেন, এটা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের পরিবারের জন্য আবেদন করছি।"</p>
Source link
‘এখানে আসুন, আপনি তো ঘুরতে ভালবাসেন, পদ্মার ধারে বসে কবিতা লিখবেন’
