NOW READING:
‘লক্ষ্মীর ভাঁড়ে ১ হাজার টাকা ছিল ছেলের, নিয়ে নিয়েছে, সব শেষ, কী করে মেয়ের বিয়ে দেব ?’
April 14, 2025

‘লক্ষ্মীর ভাঁড়ে ১ হাজার টাকা ছিল ছেলের, নিয়ে নিয়েছে, সব শেষ, কী করে মেয়ের বিয়ে দেব ?’

‘লক্ষ্মীর ভাঁড়ে ১ হাজার টাকা ছিল ছেলের, নিয়ে নিয়েছে, সব শেষ, কী করে মেয়ের বিয়ে দেব ?’
Listen to this article



<p><strong>শিবাশিস মৌলিক, বৈষ্ণবনগর :</strong> ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখন এক কাপড়ে ভিটেমাটি ছেড়ে মালদার ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন বহু মানুষ। বৈষ্ণবনগরের একটি স্কুলে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। ঠিক কীভাবে নেমে এসেছিল দুর্বৃত্তদের আক্রমণ ? সেদিনের কথা মনে করলেই এখনও তাঁদের চোখে মুখে সেই আতঙ্ক। ভয়ে চোখে জল।</p>
<p>দেড় লক্ষ টাকা জমিয়ে বাড়ির বেশ কিছু জিনিস করছিলেন। ভাবছিলেন, সুখে সংসার করবেন। শ্রমিকের কাজ করার জন্য একজন বাইরে থাকেন। বাকি ৮ সদস্য থাকতেন বেদবনা গ্রামে। সেই বেদবনা গ্রামে কখনো যাদের দাদা-জেঠা-কাকু বলে ডাকেন, তারা বাড়িতে এসে তাণ্ডব করবে, কখনো ভাবেননি বনবাসী মণ্ডল। তাঁর জমানো টাকা, তাঁর অল্প অল্প করে কেনা টুকিটাকি জিনিসপত্র সব নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। গত সাত-আট বছর ধরে তিনি বিভিন্ন সময়ে ঋণ নিয়ে যে জিনিসগুলো করেছেন, তা সব নষ্ট। সব হারিয়ে আজ মালদার বৈষ্ণবনগরের স্কুলের ত্রাণশিবিরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন বনবাসী। এই পরিস্থিতিতে কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন বুঝতে পারছেন না। অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে। সমস্যার সুরাহা হবে কি ? আশা নিয়ে এভাবেই ত্রাণশিবিরে দিন কাটাচ্ছেন বনবাসী।</p>
<p>ত্রাণশিবিরেই খেতে বসার সময় কাঁদতে কাঁদতে তিনি বললেন, "সব শেষ করে দিয়েছে। কিছু নেই। আমার ফাঁকা। আমার মেয়ের বিয়ে কেমন করে দেব ? কেমন করে পয়সা জমাব ? ১৩ বছরের হয়ে গেল মেয়েটার। কেমন করে বিয়ে দেব ? কেমন করে পয়সা জমাব ? সব তছনছ করে দিয়েছে। লাথি মেরেছিল পায়ে। আমার ব্যথা করছে। কিছু নেই আমার । সব শেষ করে দিয়েছে। আমার ছেলের লক্ষ্মীর ভাঁড়ে এক হাজার টাকা…বিস্কুট খায় না..চা খায়নি…কীর্তনের এক হাজার টাকা লক্ষ্মীর ভাঁড়ে জমানো ছিল, সেটা নিয়ে নিয়েছে। আমার ছোট মেয়েটা মেলা দেখবে বলে সাড়ে তিনশো টাকা জমিয়েছে। ওটাও নিয়ে নিয়েছে। আমার বড় মেয়ে মেলা দেখবে বলে ৬০০ টাকা জমিয়েছিল, ওটাও নিয়ে নিয়েছে। কিছু রাখেনি।"&nbsp;</p>
<p>অশান্ত মুর্শিদাবাদ থেকে এক কাপড়ে মালদায় পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে একাধিক পরিবার। সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান থেকে মালদার বৈষ্ণবনগরের একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। জলে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের সহযোগিতায় কোনও রকমে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন।&nbsp;</p>
<p>&nbsp;</p>



Source link