জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারত বাংলাদেশের টানাপোড়ন সম্পর্কের মধ্যেই ভারতের একটি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে হওয়া জাহাজ নির্মাণ চুক্তি বাতিল করল মহম্মদ ইউনূস সরকার। চুক্তি হয়েছিল ২.১০ কোটি ডলার অর্থাত্ প্রায় ১৮০ কোটি টাকার। ওই চুক্তি সাক্ষর হয়েছিল শেখ হাসিনার আমলে। চুক্তি ছিল গভীর সমুদ্রে আটকে পড়া ভারী জাহাজকে টেনে আনার জন্য টাগ বোট তৈরির। কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ২০২৪ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে ওই চুক্তিতে সই করে।
ওই চুক্তি কেন বাতিল করা হল তার কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ফলে মনে করা হচ্ছে হাসিনার আমলে হওয়া চুক্তি বলেই তা বাতিল করা হল। ৮০০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি সমুদ্রগামী টাগবোট নির্মাণের লক্ষ্যে এই চুক্তি হয়েছিল। বাংলাদেশ গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে যে জাহাজ তৈরি করতে দিয়েছিল তা লম্বায় ছিল ৬১ মিটার, চওড়া ১৫.৮ মিটার। গভীরতা হওয়ার কথা ছিল প্রায় ৭ মিটার। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই টাগ বোটের গতি হওয়ার কথা ছিল ঘন্টায় ১৩ নটিক্যাল মাইল।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশকে দেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণরেখার অধীনে প্রথম বড় প্রকল্প। ৮০০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি সমুদ্রগামী টাগবোট নির্মাণের লক্ষ্যে এই চুক্তি হয়েছিল। চলতি মে মাসেই ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১১টি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করে, যা প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানিকে প্রভাবিত করতে পারে। বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থলবন্দর দিয়ে হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন- চোখ রাঙাচ্ছে পিরোলা! যে লক্ষণ দেখে আপনি সতর্ক হবেন…
আরও পড়ুন-চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড, দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৫০, বাংলায় কত?
গত এপ্রিল মাসে ভারত বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের জন্য ভারতীয় বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে ট্রানশিপমেন্টের সুবিধাও বাতিল করে। পালটা পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ ১৩ এপ্রিল থেকে ভারতের সুতা রপ্তানি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ করে দেয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ছিল ভারতের বৃহত্তম উপমহাদেশীয় বাণিজ্য অংশীদার। ভারতের রপ্তানি বাংলাদেশে ছিল ১ হাজার ১০৬ কোটি ডলার ও আমদানি ছিল ১৮০ কোটি ডলারের।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)