# Tags
#Blog

আর জি করের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়, বিচারকের মন্তব্যে কী বললেন অভয়ার বাবা?

আর জি করের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়, বিচারকের মন্তব্যে কী বললেন অভয়ার বাবা?
Listen to this article


আর জি কর মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। এর পাশাপাশি বিচারক বলেছেন এই ঘটনার বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। বিচারক দাসের এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে জোরদার জল্পনা। সকলেই প্রশ্ন করছেন, এমন ঘটনাও যদি বিরলের মধ্যে বিরলতম না হয়, তাহলে কোন ঘটনা হবে? একটি অপরাধকে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা বলতে গেলে সেটা কেমন হওয়া প্রয়োজন? 

এই প্রসঙ্গে ‘ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন’ অনুষ্ঠানে এসে কী বললেন তিলোত্তমার বাবা 

তাঁর কথায়, ২ মাস ১০ দিন ধরে সবার সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন বিচারক। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দেখেছেন। সিবিআই- ও তথ্যপ্রমাণ পেশ করেছিল। তারাও সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিল। কিন্তু বিচারক সব দেখেশুনে বিচার বিবেচনা করে যা রায় দিয়েছেন সেটা সকলের মেনে নেওয়া উচিৎ। বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের আস্থা রাখতেই হবে। আমরাও রেখেছি। আমি মনে করি, আমরা যে আশা করেছিলাম, বিশ্বাস রেখেছিলাম, তার পূর্ণমর্যাদা দিয়েই বিচারক আজ রায়দান করেছেন। রায়ের কপিটা এখনও হাতে পাইনি। হাতে পেলে বিশদে জানতে পারব। বিষয়টা পুরো পরিষ্কার ভাবে জানতে পারব উনি কেন এই রায় দিয়েছেন। 

সিবিআই- এর ব্যর্থতা, তারা প্রমাণ করতে পারেনি আর জি করের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম 

বিচারক অনির্বাণ দাস বলেছেন, আর জি করের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। এই প্রসঙ্গে অভয়ার বাবা জানিয়েছেন, এর জন্য দায়ী সিবিআই। সম্পূর্ণ ব্যর্থতা তাদের। অভয়ার বাবার কথায়, একটা ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম বলার জন্য যা যা প্রয়োজন তা 

সিবিআই হয়তো তুলে ধরতে পারেনি আদালতের সামনে। সম্পূর্ণ সিবিআই- এর ব্যর্থতা। তারা বলেছিল অনেক কিছুই। কিন্তু চার্জশিট এবং তার সঙ্গের কাগজে সেই সবের প্রতিফলন নেই। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট তো দেয়ইনি। আদালতে দাঁড়িয়ে সিবিআই জানিয়েছে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট আমরা দিলাম না। বিচারক যা করার করতে পারেন। এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট না দেওয়ার জন্য ৯০ দিন হেফাজতে থাকার পরেও সন্দীপ ঘোষরা ছাড়া পেলেন। এটা কি ইচ্ছাকৃত? আমরা সিবিআই- এর তদন্তের গতি প্রকৃতি কিছুই জানতে পারিনি। সুযোগ পেলে আদালতে বলব পরবর্তী তদন্তের সমস্ত গতিবিধি আমাদের জানাতে হবে। এটাই আমাদের দাবি। 

আদালতের কাছে ৫৪টি প্রশ্ন রেখেছ তিলোত্তমার পরিবার। তিলোত্তমার বাবা বলছেন, যেখান থেকে পারে আদালত উত্তর দিক। কোথা থেকে দেবে তারা বিবেচনা করবে। 

আরও পড়ুন- ‘আর কত অভয়া দেখলে তারপর আমরা জাস্টিস পাব? মন থেকে এই বিচার মানছি না’ 

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal