Brazillian Auto Influencer: মাত্র ৪৫ বছরেই মৃত্যু হল জনপ্রিয় অটো ইনফ্লুয়েন্সার রিকার্ডো গোডোইয়ের (Ricardo Godoi)। গোটা পিঠ জুড়ে ট্যাটু করাতে গিয়েই বিপত্তি হল। ব্রাজিলের রেভিটালাইট ডে হাসপাতালে ট্যাটু করাতে গিয়েই মৃত্যু হল ইনফ্লুয়েন্সারের। এই সময় ট্যাটু (Influencer Death) করানোর জন্য সাধারণ অ্যানাস্থেসিয়া (Auto Influencer) দেওয়া হয়েছিল তাঁকে, আর এই সেই সময়েই তার হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যায়। চিকিৎসকেরা বহু চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি।
হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা আছে, ‘অ্যানাস্থেটিক ইন্ডাকশন, রেসপিরেটরি অ্যারেস্ট এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’। আর এই কারণেই সেই ইনফ্লুয়েন্সারের মৃত্যু ঘটেছে। অর্থাৎ অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়ার দরুণ তার শ্বাসযন্ত্রে প্রথমে সমস্যা দেখা যায় আর তারপরেই হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে তার মৃত্যু ঘটে। এমনকী সেই ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে অ্যানাবলিক স্টেরয়েডের ব্যবহারকেও দায়ী করা হয়েছে। যদিও এটিই যে অন্যতম প্রধান কারণ তা বলা হয়নি চিকিৎসকদের তরফে।
যদিও গোডোইয়ের পরিবার এই স্টেরয়েডের ব্যবহারের দাবি মানতে নারাজ। তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, বিগত ৫ মাসের মধ্যে এই ধরনের কোনো অভ্যাস তার ছিল না, তিনি স্টেরয়েড নেননি। আর ট্যাটু করানোর আগে সমস্ত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কিছু সন্দেহজনক ধরা পড়েনি। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার অ্যাডেন ক্লস জানান, ‘আমাদের কাছে যে ডেথ সার্টিফিকেট এসেছে তাতে স্পষ্ট লেখা আছে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, হৃদযন্ত্রের সমস্যা এবং অ্যানাবলিক স্টেরয়েডের ব্যবহারই তার মৃত্যুর কারণ। গতকাল রাতে রিকার্ডোর পরিবারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে বিগত ৫ মাস ধরে তিনি এরকম কোনো স্টেরয়েড ব্যবহার করেননি। তার বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়েছিল ট্যাটু করার আগে যাতে জানা গিয়েছিল যে তিনি আদপেই সুস্থ স্বাভাবিক।’
ইনস্টাগ্রামে রিকার্ডো গোডোইয়ের মৃত্যুর খবর প্রথম জানান তার টিমের সদস্যরা। জানানো হয় যে গতকাল রাত ১২টার সময় তার মৃত্যু হয়েছে। তার পরিবার ও বন্ধুবর্গের প্রতি সান্ত্বনা জানান টিমের সদস্যরা। অনুরাগীদের কাছে তাদের সকাতর প্রার্থনা যেন রিকার্ডোর প্রতি তারা সকলেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এই মর্মে সেই ট্যাটু স্টুডিও একটি বিবৃতিতে ট্যাটু করানোর আগে সুরক্ষিত থাকার বেশ কিছু ধাপ যে তার যথাযথ মেনে চলেছিলেন তা নিয়ে অবগত করেছে। তারা ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে যে গোডোইয়ের পিঠে ট্যাটু করানোর জন্য অ্যানাস্থেসিয়ার দরকার ছিল। সেই স্টুডিওর তরফ থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সার্টিফায়েড অ্যানাস্থেসিওলজিস্টকে নিয়ে আসা হয় সুরক্ষিত থাকার জন্য। এর আগে রক্ত পরীক্ষাও করা হয়েছিল তার, কিন্তু তাতে কোনো সঙ্কটের চিহ্নমাত্র ছিল না। এই ট্যাটু করানোর আগে অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়ার পরেই তার শরীরে কার্ডিওরেসপিরেটরি সমস্যা দেখা যায় আর সেই কারণে একজন নামী কার্ডিওলজিস্টকেও ডেকে আনা হয়, কিন্তু কিছুতেই আর তাঁকে বাঁচানো গেল না।
আরও পড়ুন: IIT Baba: বড়বড় চুল-দাড়ি নেই, এ কোন ‘রূপ’ ? কী হয়েছে আইআইটি বাবার ?
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours