সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের গুণমান পরীক্ষায় ফেল দেশের আরও ১৩৪টি ওষুধ। কলকাতার বাজার থেকে ২৩টি ওষুধের নমুনা নিয়ে সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোলের ল্যাবে পরীক্ষার পর ‘নট ফর স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
জাল ওষুধের রমরমার সময়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্য়ান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা CDSCO-র পরীক্ষার সাম্প্রতিক রিপোর্ট। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় গুণমানের নিরিখে ডাহা ফেল করেছে দেশের ১৩৪টি ওষুধ। এর আগে ১৪৪টি ওষুধ ছিল এই তালিকায়। ফেল করা ওষুধের বেশিরভাগই নামী সংস্থার বহুল প্রচলিত ব্র্যান্ডের।
কোন ধরনের ওষুধের গুণমান সঠিক নয়?
- রক্ত জমাট বাধা ঠেকাতে ব্যবহৃত হওয়া ওষুধ
- হাড়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়া ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট
- বাতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়া ইঞ্জেকশন
- শরীরে আয়রনের পরিমাণ বাড়াতে ব্যবহৃত হওয়া ইঞ্জেকশন
- অস্ত্রোপচারের সময় ব্যথা কমাতে ব্যবহার হওয়া ইঞ্জেকশন
- ডায়াবেটিসের ওষুধ
- ফুসফুসের অসুখে ব্যবহৃত হওয়া অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন
- প্যাকেটজাত খাবার দীর্ঘদিন একই রকম রাখতে ব্যবহৃত হওয়া ওষুধ
- কাফ সিরাপ, চোখের সংক্রমণ, কর্নিয়ার সমস্যায় ব্যবহৃত হওয়া ওষুধ
- ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহৃত হওয়া ওষুধ
- সাধারণ স্যালাইন, খিঁচুনি কমাতে ব্যবহৃত হওয়া ওষুধ
- ভিটামিন-বি-এর ঘাটতি ঠেকাতে ব্যবহৃত হওয়া ওষুধ
- খাদ্যনালীর সমস্যা সংক্রান্ত চিকিৎসার ওষুধ
- পক্সের টিকা, ক্ষুদ্রান্তের সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়া ওষুধ
- ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহৃত ইনজেকশন
- ক্যালসিয়াম ইঞ্জেকশন, ফোলা কমানোর ইঞ্জেকশন, ভিটামিন ট্যাবলেট
১৩৪টির মধ্যে ৪৭টির ক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে যা দাবি করা আছে ভেতরের সেই ওষুধ নেই। পাঁচটা ওষুধ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে সেগুলি জাল। কী ধরনের সমস্যা ওষুধে? কোথাও প্যাকেটের গায়ে নাম লেখা এক, ভেতরে ওষুধ আছে আরেক। ট্যাবলেট খাবার পর শরীরে গিয়ে দ্রবীভূত হচ্ছে না, শক্তই থেকে যাচ্ছে। কোনওটায় যে পরিমাণ ওষুধ আছে বলে দাবি করা হচ্ছে তার মাত্রা কম। কোনও ওষুধ আবার গোটাটাই জাল। কোনও ওষুধ নিম্নমানের, কোনও ওষুধে মিশে রয়েছে অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ। কোনওটা আবার সঠিকভাবে পরিশোধন করা তরল দিয়ে বানানো হয়নি। ট্যাবলেটের গায়ে কালো কালো ছোপ। কোনও ট্যাবলেট ক্যাপসুলের ল্যামিনেশন-এর ত্রুটি আছে। কোথাও একই স্ট্রিপে থাকা কিছু ট্যাবলেট এক রঙের, কিছু ট্যাবলেট অন্য রঙের। কোনও কোনও ওষুধ ব্র্যান্ড জাল করে বানানো। কোনওটা আবার অপরিশোধিত তরল দিয়ে বানানো। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক বহুজাতিক সংস্থার ব্র্যান্ডেড ওষুধও রয়েছে। এই ব্যাচের ওষুধগুলির বিষয়ে অ্যালার্ট জারি করেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ।
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours