জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস। এক ব্যক্তি এক শপিংমলে নিরাপত্তা প্রহরীদের কাছে ধরা পড়েন। কেন? কারণ, ওই সময় তিনি তখন সেখানে তিন মহিলার আপত্তিকর ছবি তুলেছিলেন। এই ঘটনার জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। আর এরপর যেন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে! জানা যায়, ওই ব্যক্তির কম্পিউটারে এক মহিলার কয়েকশো আপত্তিকর ছবি ও ভিডিয়ো। এবং সেই সব ছবি দেখে বোঝা যায় যে, ছবি বা ভিডিয়োগুলো ওই মহিলার সম্মতিতে তোলা হয়নি।
আরও পড়ুন: National Anthem Row: বদলের বাংলাদেশে এবার ব্রাত্য রবীন্দ্রনাথও? জাতীয় সংগীত আর নয় ‘আমার সোনার বাংলা’!
কার ছবি? কেন তোলা হল? ফলে তদন্ত আরও তন্নিষ্ঠ হল। আর তখনই জানা গেল, ছবির ওই মহিলা মলে ধরা পড়া অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির স্ত্রী! ছবি ও ভিডিয়োগুলি বিশ্লেষণ করে পুলিস ক্রমে জানতে পারে, নিজের বাড়িতেই ওই নারী দিনের পর দিন ধর্ষিতা হতেন! তা-ও পরপুরুষের দ্বার! নিজের স্বামীই ওই মহিলাকে নেশা করিয়ে এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন। ফ্রান্সের অ্যাভিগনোনের মাজান শহরে তাঁদের বাড়ি।
অথচ তাঁকে যে ধর্ষণ করা হচ্ছে তা বুঝতে পারেননি এমনকী স্বয়ং নির্যাতিতাও! কেন? কারণ, কড়া মাদক খাইয়ে তাঁকে অচৈতন্য করত স্বামী। তারপর অন্য পুরুষ দিয়ে ধর্ষণ করানো শুরু হত। শুরু হত তাঁর অশালীন ছবি, ভিডিয়ো তোলা।
এই ভাবে ধর্ষণের ঘটনার শুরু ২০১১ সালে। তখন ওই দম্পতি প্যারিসের আশপাশে বসবাস করতেন। পরে তাঁরা মাজান শহরে আসেন। সেখানে আসার পর বছর দুয়েক পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তি স্ত্রীর ধর্ষণের সময়কার ছবি তুলে রাখতেন, করে রাখতেন ভিডিয়োও। পরে সেসব দেখিয়ে অন্যদেরও একই কাজে উৎসাহিত করে ঘরে ডেকে আনতেন। এইভাবে ওই মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন গাড়িচালক, দমকল কর্মকর্তা, কোম্পানির শীর্ষকর্তা, সাংবাদিকদের দ্বারাও।
স্ত্রী’কে কড়া মাদক খাইয়ে বাড়িতে একাধিক পুরুষকে ডেকে এনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করানোর এই হাড়হিম কাণ্ডের প্রতিবাদে তোলপাড় দেশ। তোলপাড় সারা বিশ্ব। ঘটনা ঘটার দশ বছর পর স্বামীর কুকীর্তি প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার স্বামীর বয়স এখন ৭২ বছর। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। মা’কে যে দিনের পর দিন এভাবে অত্যাচার করেছে তাঁদের বাবা, তা তাঁরা টেরও পাননি।
আরও পড়ুন: Dev on kunal: ‘সঠিক তথ্য জেনে কথা বলুন’: কুণালকে পাল্টা দেবের
অভিযুক্ত স্বামীকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। মাদক ব্যবহার এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার ২০ বছরের হাজতবাস হতে পারে। এই ধর্ষণের ঘটনায় যে ৭২ জন যুক্ত, তাদের মধ্যে ৫১ জনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করে আটক করেছে পুলিস। এদের মধ্য়ে একজন এইচআইভি-আক্রান্তও ছিল! বাকিদের খোঁজ চলছে। কী হয় এরপর? গোটা বিশ্বের নজর এখন ফ্রান্সের দিকে!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)