জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে। এই দেশ ত্যাগ কি আটকানো যেত না? এই প্রশ্নটা অনেকের মনেই এসেছে। অনেকে বলছেন, যে কোটা আন্দোলনের জেরে এতকিছু সেই মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মীয়দের জন্য কোটা বাতিল করে দিলেই ল্যাঠা চুকে যেত। কিন্তু শেখ হাসিনা বলছেন একেবারে উল্টো কথা।

আরও পড়ুন-দেশ ছাড়ার আগে ইস্তফা দেননি মা, উনি এখনও প্রধানমন্ত্রী, দাবি হাসিনার ছেলে সজীবের

এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেছেন, এই গোলমালের পেছনে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের পূর্বের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ আমেরিকার হাতে তুলে দিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারতাম। সেন্ট মার্টিন আমেরিকার হাতে তুলে না দেওয়ার ফলে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছে।

সেন্ট মার্টিন নিয়ে সংসদে আগেও ইঙ্গিত দিয়ে ছিলেন শেখ হাসিনা। সেন্ট মার্টিনে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চায় আমেরিকা। ওই ঘাঁটি তৈরি হলে দক্ষিণ পূর্ব এসিয়ায় আমেরিকার কর্তৃত্ব বাড়ত তাতে ভারতের মাথাব্যথার কারণ ছিল।  সমস্যা ছিল চিনেরও।

হাসিনা তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, পদত্যাগ করেছি কারণ লাশের মিছিল আমি দেখতে চাইনি। তারা শিক্ষার্থীদের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি তার অনুমোদন দিইনি।  আমি এখনো দেশে থাকলে আরও অনেকে প্রাণ হারাতো, আরও অনেক সম্পদ নষ্ট হতো। ইনশাআল্লাহ, শিগগিরই আমি দেশে ফিরছি। এই পরাজয় আমার কিন্তু এই বিজয় জনগণের। আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি, আমি আপনাদের বিজয়ের মাধ্যমে এসেছি, আপনারা আমার শক্তি ছিলেন। এরপর আপনারা আমায় চাননি, আমি সরে গেছি এবং পদত্যাগ করেছি। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমার কর্মীরা সেখানে যারা আছেন, কেউ মনোবল হারাবেন না। আওয়ামী লীগ আবার দাঁড়িয়ে উঠবে। তাঁর ভাষণ বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি আমার তরুণ শিক্ষার্থীদের আবার বলতে চাই, আমি কখনোই তোমাদের রাজাকার বলিনি, আমার কথা বিকৃত করা হয়েছে।

অন্যদিকে, এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, মা ইস্তফা দেননি। তাই তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হাসিনার ছেলে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘অফিয়ালি ইস্তফা দেননি মা। সেই সময় তিনি পাননি। সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’ হাসিনা দেশে ছেড়ে বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। সেখান তিনি অন্য কোনও দেশে যাবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

ওয়াজেদ বলেন, সেনা প্রধানের সঙ্গে কথা বলে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা ছাড়া অন্য কাউকে গদিতে বসিয়ে দেওয়া আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। মা দেশে বিচারের মুখোমুখি হতে চেয়েছিলেন। উনি কোনও ভুল করেননি। ওঁর সরকারের কিছু লোক কিছু বেআইনি কাজ করেছে বলে এটা বলা যায় না যে উনি তার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে এর জন্য দোষ মাকে দেওয়া যায় না।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *