আমতলা: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এবার বিজেপি এবং কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি সরকারকে বিঁধলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়িয়ে বিজেপি বাংলাদেশ নিয়ে রাজনীতি করছে, অথচ কেন্দ্রে তাদেরই সরকার রয়েছে বলে স্মরণ করিয়ে দিলেন তিনি। বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না এবং কেন্দ্রকেই এ নিয়ে পদক্ষেপ করতে হবে বলে মন্তব্য করলেন তিনি। (bhishek Banerjee on Bangladesh)
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সেই উত্তেজনার আঁচ এসে পৌঁছেছে এপার বাংলাতেও। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে উঠে আসছে। কলকাতায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সেই নিয়ে মিছিলও করেছেন। জায়গায় জায়গায় প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র অন্য নেতা-নেত্রীরা। (Bangladesh Situation)
সেই আবহেই বিজেপি-কে বিঁধলেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, “বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তা এখানকার রাজনীতির বিষয় নয়। বিজেপি-র অভ্যাস সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করা। আর জি কর নিয়ে করেছে, এখন বাংলাদেশ নিয়ে করছে। বিজেপি-রই তো সরকার কেন্দ্রে! এই বীরত্বটা দিল্লিতে গিয়ে দেখাক! আমরা তো চাই বাংলাদেশে যএ অনাচার চলছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক!”
অভিষেক এদিন আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তো ব্যবস্থা নিতে পারবে না? আপনাকে সংবিধান তো মানতে হবে! আমরা বার বার বলেছি, কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, দলগত ভাবে তৃণমূল তাকে সমর্থন করবে। যা ঘটছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়, দুর্ভাগ্যজনক এবং সমর্থনযোগ্য নয় একেবারেই। যাঁরা এখানে বীরত্ব দেখাচ্ছেন, দিল্লিতে গিয়ে তাঁদের এই বীরত্ব দেখানো উচিত। নইলে কেন্দ্র বলে দিক যে রাজ্য ব্যবস্থা নিতে পারবে!”
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার, হামলার অভিযোগ উঠে আসছে লাগাতার। সেই আবহে গোড়া থেকেই সাবধানী অবস্থান নিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, দল তাকে সমর্থন করবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, এ ব্যাপারে কিছু করার এক্তিয়ার রাজ্যের নেই। কেন্দ্রকেই পদক্ষেপ করতে হবে।
অন্য দিকে, বাংলাদেশে এখনও জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। আর এক সন্ন্যাসী শ্যামদাস প্রভুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। ভৈরবে আজও অশান্তি ছড়ায়। সেই নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকেও উদ্বেগ ধরা পড়েছে। বাংলাদেশ যদিও ভারতকে পাল্টা আক্রমণ করেছে। ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর যে অত্যাচার চলে, তার পর আর বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে না বলে দাবি করেছেন সেদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন মন্ত্রকের উপদেষ্টা। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
আরও দেখুন