‘এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা না হলে আর কোনটা?’ ক্ষুব্ধ জুনিয়র চিকিৎসক থেকে আমজনতা
![‘এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা না হলে আর কোনটা?’ ক্ষুব্ধ জুনিয়র চিকিৎসক থেকে আমজনতা ‘এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা না হলে আর কোনটা?’ ক্ষুব্ধ জুনিয়র চিকিৎসক থেকে আমজনতা](https://i1.wp.com/feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2025/01/20/066c261918313972029cf38cbe130c521737380880198485_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&w=991&resize=991,564&ssl=1)
আর জি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড। বিচারক বলেছেন, এই ঘটনা বিরলের থেকে বিরলতম নয়। আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ জুনিয়র চিকিৎসকরা। উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন জুনিয়র ডাক্তাদের একাংশ। আগামীকাল চিকিৎসকমহলের তরফে, নার্স এবং গণ সংগঠনের তরফে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। হেঁদুয়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত একটি মিছিল হবে বলে জানা গিয়েছে। আরও একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আদালয়ের রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক মঞ্চের আন্দোলনকারীরাও। সকলের প্রশ্ন একটাই, বাকি যারা যুক্ত এই ঘটনায় তাদের কী হবে? অনেকেই রায় শুনে বলেছেন যে তিমিরে ছিলাম সেই তিমিরেই রয়ে গেলাম। প্রায় সকলেরই একটাই মত, সঞ্জয় রায় একা দোষী নয়। সে একা এই কাণ্ড ঘটায়নি। তার সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে, সেটাই জানতে চাইছেন সকলে। সিবিআই সঠিক পথে তদন্ত করে আর জি করের এই নৃশংস ঘটনায় যুক্ত সকলকে খুঁজে বের করুক। তাদের কঠিনতম শাস্তি হোক। ক্রাইম সিন কোথায় সেই ব্যাপারেও সঠিক তথ্য দিক সিবিআই। এইসব দাবিতেই নতুন করে প্রতিবাদের ঝড় উঠছে শহর কলকাতার বুকে। উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগানে গর্জে উঠছেন সকলে। সেই সঙ্গে ক্ষোভে ফুঁসে বলছেন বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে।
এক জুনিয়র চিকিৎসকের কথায়, এই রায় দুর্ভাগ্যজনক। বলা হচ্ছে, এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়। কী করে মেনে নেব। একজন চিকিৎসক ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করার পর তাঁর কর্মক্ষেত্রে, নিজের ডিপার্টমেন্টে, যা বাড়ির মতোই সুরক্ষিত হওয়ার কথা, সেখানে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। সেখানে নৃশংস অত্যাচার করে তাঁকে খুন করা হল। মৃত্যুর পর সত্যকে ধামাচাপা দিতে গোটা রাজ্যের প্রশাসন উঠেপড়ে লাগল। এই প্রাতিষ্ঠানিক হত্যার যতক্ষণ না তীব্রতম শাস্তি হচ্ছে, ততক্ষণ মনে করি না এই বাংলায় বাকি যারা এরকম খুন-ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তারা ভয় পাবে।
আরও এক জুনিয়র চিকিৎসক বলছেন, কোর্টের রায়কে স্বাগত। তবে এখনই খুশি হওয়ার কিছু নেই। সেদিন খুশি হব যেদিন বাকি যারা প্রভাবশালী এই ঘটনায় যুক্ত তারা শাস্তি পাবেন। এই মামলার আংশিক সমাধান হয়েছে, এখনই খুশি হওয়ার কিছু নেই। ডিএনএ রিপোর্টে দেখা গিয়েছে আরও অনেকে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা। সিসিটিভি ফুটেজেও অসঙ্গতি। তাদের খুঁজে বের করে চরমতম শাস্তি দেওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুন- ‘একা সঞ্জয় দোষী নয়, আর কে আছে জানতে চাই’, ফের উঠছে স্লোগানের গর্জন
আরও দেখুন