# Tags
#Blog

টিউশন থেকে বেরিয়ে ৭ সেকেন্ডের একটা ফোন মা-কে ; আতঙ্কে থানায় ছুটল পরিবার; যা হল ছাত্রীর…

টিউশন থেকে বেরিয়ে ৭ সেকেন্ডের একটা ফোন মা-কে ; আতঙ্কে থানায় ছুটল পরিবার; যা হল ছাত্রীর…
Listen to this article



<p><strong>রানা দাস, কালনা</strong> : "ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না।" মা-কে ফোনে এই কথা বলার কিছুক্ষণের মধ্য়েই কালনার জিউধারা রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হল। শুক্রবার রাতের ঘটনা। মৃত ওই ছাত্রীর নাম অঙ্গনা হালদার। তার বাড়ি ধাত্রীগ্রাম এলাকায়। প্রতিদিনই মায়ের সঙ্গে কালনা শহরের ইংরেজির এক শিক্ষকের কাছে পড়তে আসত ওই ছাত্রী। শুক্রবারও পড়তে এসেছিল। অন্যদিনের তুলনায় এদিন কিছুটা আগেই ছুটি দিয়ে দেয় ওই শিক্ষক। সেই মতো কিছুটা সময় আগেই বেরিয়েছিল ওই ছাত্রী। এরপরই তার মাকে ফোন করে সে বলে "ওরা আমায় বাঁচতে দেবে না"। &nbsp;</p>
<p><strong>কী ঘটনা ?</strong></p>
<p>মেয়ের ফোন থেকে মায়ের কাছে সাত সেকেন্ডের একটা ফোন এসেছিল। মেয়ে ফোন করে বলেছিল, ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না। তারপর আর একটা ফোন এসেছিল কয়েক সেকেন্ড পরেই। কিন্তু, তারপরে আর কোনোরকম যোগাযোগ করা যায়নি। এরপরেই পরিবারের তরফ থেকে কালনা থানায় যাওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও পুলিশ খোঁজ শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পরেই ৭টা ১০-১৫ মিনিট নাগাদ কালনা থানায় খবর আসে জিআরপি-র কাছ থেকে। যে, কালনা স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে সেখানে এক মহিলার মৃতদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তারা সেখানে গিয়ে দেখে, ওই ছাত্রীর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।</p>
<p>এরপরেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মেয়েটা যেখানে পড়তে গিয়েছিল, সেখান থেকে বাড়ির রাস্তায় না গিয়ে, দেড় কিলোমিটার দূরে অন্য রাস্তায় কেন এল ? এ প্রশ্ন উঠছে, কেন সে মা-কে ফোন করে বলল ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না। প্রাইভেট থেকে আধ ঘণ্টা আগে কেন মেয়েটি বেরিয়ে গেল ? মেয়েটির সঙ্গে মা এসেছিল। প্রতিদিন মা তাকে নিয়ে যেত। কাল কেন কিছুক্ষণ আগেই সে বেরিয়ে গেল ? পুলিশ সূত্রে খবর, স্টেশন চত্বরের একাধিক সিসি টিভি ফুটেজে মেয়েটিকে একা ঘুরতে দেখা গেছে। কিন্তু যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে কোনো সিসি টিভি ফুটেজ নেই। পুরোটাই ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পরিবারের বক্তব্য, কেন এধরনের ফোন করল ? তাহলে কি এর পিছনে কোনো ঘটনা রয়েছে?</p>
<p>মেয়েটির কাকা বলেন, "বউদি বললেন, আমাকে ফোনটা করে বলছে আমাকে বাঁচতে দেবে না, মেরে ফেলবে। এটাই হচ্ছে কথা। আর কোনো কথা নেই। আমি ছেলেকে পড়তে দিয়ে জাস্ট বাড়িতে গিয়ে বসলাম। কাগজটা খুলেছি আর সঙ্গে সঙ্গে বউদির ফোন। আমি তো ২-৩ মিনিটের মধ্যে ঢুকে গেলাম।"&nbsp;</p>



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal