জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেরালায় রোগ-বিপর্যয় থামছেই না। এবার এম পক্স তথা মাঙ্কিপক্স। কেরালায় প্রথম এবং ভারতে দ্বিতীয় এম পক্স তথা মাঙ্কিপক্সের ঘটনা ধরা পড়ল। মলপ্পুরমের এডাভান্নার বছর আটত্রিশের এক যুবক এম পক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: Europe Floods: বাড়ছে মৃত্যু! দিনসাতেকের বন্যায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত…

বেশ কিছুদিন ধরেই এম পক্স আতঙ্কে কাঁপছে দেশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে এক পুরুষ রোগীর শরীরে মাঙ্কি পক্স রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সম্প্রতি তিনি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছিলেন। মনে করা হচ্ছে তাঁর শরীরে মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, রোগীকে একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা তখন স্থিতিশীল ছিল। মাঙ্কি পক্স নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার জন্য তাঁর দেহ থেকে নেওয়া স্যাম্পল পরীক্ষা করে দেখাও হয়েছিল।

গত ১৪ অগাস্ট মাঙ্কি পক্সকে হেলথ ইমার্জেন্সি বলে ঘোষণা করে ‘হু’ তথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওই ঘোষণার পরপরই এ নিয়ে সতর্ক হয়ে ওঠে কেন্দ্র। বিদেশ থেকে আসা অসুস্থ রোগীদের টেস্ট করা থেকে তাদের আইসোলেশনে রাখা– নেওয়া হয় সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থ। ২০২২ সালে বেশি করে ধরা পড়তে শুরু করে মাঙ্কি পক্স। তারপর এখন আফ্রিকার দেশগুলিতে যে মাঙ্কি পক্স ধরা পড়ছে তা আগের থেকে অনেক কম সংক্রমক।

বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টে ৪টি কিয়স্ক খোলা হয়েছে। সেখানেই বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের মাঙ্কি পক্স টেস্ট করা হচ্ছে। সেখানে রোজ বিদেশাগত ২০০০ যাত্রীর মাঙ্কি পক্স টেস্ট করা হচ্ছে। বেঙ্গালুরু বিমান বন্দরের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিদেশের বহু দেশে মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে পড়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর সবদিক থেকে তৈরি। মাঙ্কিপক্স আটকাতে মেনে চলা হচ্ছে সব প্রোটোকল। বিদেশ থেকে আগত সব যাত্রীদের খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে মাঙ্কি পক্স নিয়ে কেউ যেন এ দেশে ঢুকতে না পারেন!

উল্লেখ্য, দিল্লিতে ইতিমধ্যেই একজনের শরীরে মাঙ্কি পক্স ধরা পড়েছে। ফলে এ নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকার। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে একটি পৃথক জায়গা করা হয়েছে। সেখানেই রাখা হচ্ছে সন্দেহভাজনদের।

মাঙ্কি পক্স কী?

আরও পড়ুন: Durga Puja Special | Mahalaya 2024: কবে মহালয়া? কেন পালিত হয় পিতৃপক্ষ? জেনে নিন এ দিনটির বিশেষ তাৎপর্য…

এটি একটি ভাইসারঘটিত রোগ। এক্ষেত্রে রোগী দু’ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। মাঙ্কি পক্সে চামড়ায় ব়্যাশ বের হয়। গুটির মতো ফোসকাও হতে পারে। এরকম থাকতে পারে ২ সপ্তাহ। এর সঙ্গে থাকে জ্বর, মাথাধরা, পেশির যন্ত্রণা, গাঁট ফুলে যাওয়া ও দুর্বলতা। রোগীর কাছে এলে এটি তাঁর দেহেও ছড়াতে পারে। গর্ভবতী মহিলার মাঙ্কি পক্স হলে তা ছড়াতে পারে তাঁর গর্ভের সন্তানের মধ্যে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *