<p style="text-align: justify;"><strong>মালদা:</strong> স্কুলের মধ্যে, স্কুল চলাকালিন শিক্ষকদের মধ্যে মারামারি। টি আই সি র চেয়ার পাওয়া এবং মিড ডে মিলের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে মারামারি, পরস্পরকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি। মালদার বামোনগোলার জগদলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। প্রধান শিক্ষক অবসর নেওয়ার পরে কে টি আই সি হবে তা নিয়ে৷ বিবাদ চলছিল। শিক্ষকরা গত জুন মাসে তপন মণ্ডলকে রেজুলেশন করে টি আই সি নির্বাচিত করে। এই নিয়ে বিবাদ চলতে থাকায় ডি আই এর নির্দেশে আবার দায়িত্ব সামলাতে থাকেন ওই স্কুলের অন্য এক সিনিয়র শিক্ষক জিতেন্দ্র বর্মন। এই নিয়ে নিয়মিত ঝগড়া, বিবাদ চলতেই থাকে। এরই মধ্যে মিড ডে মিলে ব্যাপক দুর্নীতি ও স্কুলে অব্যবস্থা নিয়ে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে স্কুলের অভিভাবকরা। অন্যদিকে এই নিয়ে স্কুলের মধ্যেই মারামারি শুরু হয়ে যায়, দুই টি আই সি র অনুগামীদের মধ্যে। মারামারি চলে জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক ও ওয়ার্ক এডুকেশন এর শিক্ষকের মধ্যে। আর সেই ছবি ভাইরাল।</p>
<p style="text-align: justify;">ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগে ধরপাকড়ের মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের ৮৪ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকল। ট্যাবের টাকা হাতানোর অভিযোগে মালদার বৈষ্ণবনগর থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ। পুলিশের দাবি, সরকারি পোর্টালে ঢুকে ফাঁদ পেতেছিল প্রতারকরা। কীভাবে মিলল পোর্টালের ইউজার আইডি বা পাসওয়ার্ড? তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত? উঠছে প্রশ্ন। </p>
<p style="text-align: justify;">আবাস-বিতর্কের পর এবার জেলায় জেলায় পড়ুয়াদের ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠছে। এর মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে ২৮ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল। রাজ্য সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কিনতে, পড়ুয়া পিছু ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া<br />হয়। অভিযোগ ওঠে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ২৭টি স্কুলের ৮৫ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েনি। এর মধ্যে রয়েছে বর্ধমানের CMS স্কুলের ২৮ জন পড়ুয়া। স্কুল কর্তৃপক্ষ থানার দ্বারস্থ হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তদন্তে নেমে সোমবার মালদার বৈষ্ণবনগর থেকে হাশেম আলি নামে একটি সাইবার ক্যাফের মালিককে গ্রেফতার করে পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ।</p>
<p style="text-align: justify;"><br />কীভাবে ট্যাব-প্রতারণা? পুলিশ জানিয়েছে, বাংলার শিক্ষা পোর্টালে বেআইনি অ্যাকসেসের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল প্রতারকরা। পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর মডিফাই করে টাকা ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। পুলিশ জানিয়েছে, ৮১ জন ট্যাবের টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি বলে অভিযোগ জানায়। এদের মধ্যে ১১ জনের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল ফল্ট ছিল। তাই টাকাই জমা পড়েনি। বাকি ৭০ জনের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল। সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ৮৪ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার টাকা ঢোকে। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে ট্যাব কেনার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে গেল? সরকারি পোর্টালে বেআইনি অ্যাকসেস কীভাবে পেল প্রতারকরা? পোর্টালের সমস্ত তথ্যই কি হ্যাক হয়েছে? ইউজার আইডি বা পাসওয়ার্ড দিয়েছিল কে? যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে তারাও কি এই চক্রে জড়িত? সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়া হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।</p>
Source link
ক্ষমতা দখল ও মিড ডি মিলের দুর্নীতি ইস্যু, মালদায় স্কুল চলাকালিনই হাতাহাতি শিক্ষকদের
Read Time:5 Minute, 24 Second