মহাকুম্ভে পদপিষ্টদের পরিবারকে কত টাকা, এই ক্ষেত্রে কীভাবে নির্ধারিত হয় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ?
Prayagraj Mahakumbh 2025: ভোররাতে মহাকুম্ভে পদপিষ্টের (Mahakumbh Stampede) খবরে ঘুম ভাঙে দেশবাসীর। যোগী রাজ্যের প্রশাসন জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই পদপিষ্টের ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ক্ষেত্রে মহাকুম্ভে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার কি ক্ষতিপূরণ পাবে ? জেনে নিন, সরকারি নিয়ম কী বলে।
মৌনী অমাবস্যা ঘিরেই বিপুল ভক্তের সমাগম
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আয়োজিত এই মহাকুম্ভে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি ভক্ত এসেছেন। যোগী সরকারের ধারণা, আরও কোটি কোটি ভক্তের সমাগম হবে মহাকুম্ভে। আজ, অর্থাৎ 29 জানুয়ারি, মৌনী অমাবস্যার পবিত্র সময় কোটি কোটি ভক্ত স্নান করতে প্রয়াগরাজ পৌঁছেছিলেন। কিন্তু ভোরবেলা ভক্তদের জন্য এল দুঃসংবাদ। প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে পদপিষ্টি হয়ে কমপক্ষে ৩০ জন মারা গেছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই পদপিষ্টি হয়ে মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি ? এই ধরনের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আছে কি?
মহাকুম্ভের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ?
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভে আজ মৃত্যুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সবাই শোক প্রকাশ করেছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার পদপিষ্ট হয়ে নিহতদের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আহতদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
কী রয়েছে নিয়ম
একই সঙ্গে নিহতদের এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রেল। কোনও পাবলিক প্লেসে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। গত বছর হাথ্রাসে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষ মারা যায়। সেই ঘটনার পরও নিহতদের পরিবারকে সরকারি তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কীভাবে নির্ধারণ করা হয়
কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সরকার অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করে। যেমন ক্ষতিগ্রস্থদের কত ক্ষতি হয়েছে। তাদের চিকিৎসার খরচ কত হতে পারে। কেউ মারা গেলে শেষকৃত্যের খরচ ও বাড়ির প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করে সরকার।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথায় উঠে এসেছে গা-শিউরে ওঠা ছবি। তখন রাত ১ টা থেকে ২ টো। সঙ্গমের কাছে ভিড়ের চাপে ভেঙে যায় ব্যারিকেড। মানুষ তখন দিশাহীন ভাবে এগোচ্ছে স্রোতের মতো। একেবারে উত্তাল ঢেউয়ের গতিতে।কে-কোনদিকে যাবেন, দিকনির্দেশ ছিল না। আর তাই হঠাৎই পড়ে যায় হুড়োহুড়ি। আর তখনই পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। সূত্রের খবর, পায়ের নিচে পিষে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে অন্তত ১০ জনের।
কোটি কোটি মানুষ স্নান করে ফেলেছেন ১ দিনেই। ব্যবস্থাও ছিল ভিড় সামলানোর, দাবি প্রশাসনের। তাহলে এমনটা ঘটল কীভাবে। একেকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য একেক রকম। কেউ জানাচ্ছেন, স্নানের সময়ের আগে, পথে শুয়ে থাকা পুন্যার্থীদের ডেকে তোলে পুলিশ ! বলে, ‘স্নানের সময় হয়ে গিয়েছে’। আর তখনই মানুষ একসঙ্গে উঠে পড়ে দিশাহীন ভাবে ঠ্যালাঠেলি শুরু করে , আর তার থেকেই এই দুর্ঘটনা।
Viral Video : বিয়ের মণ্ডপে সাত মহিলাকে সিঁদুর পরালেন বর, বাদ গেল না শ্যালকও !
আরও দেখুন