জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে বাংলাদেশ। কোটা বিতর্কে উত্তাল পড়শি দেশ। কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশে আন্দোলনে নেমেছে ছাত্র-যুবরা। সেই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্রিয় প্রশাসন এবং পুলিস। এমতাবস্থায় ভারতের যে সমস্ত পড়ুয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত তাঁদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে ৷ 

আরও পড়ুন, Bangladesh Quota Andolon: জ্বলছে বাংলাদেশ! জারি কারফিউ, রাস্তায় নামল সাঁজোয়া গাড়ি, টহল দিচ্ছে সেনা…

এর আগে বৃহস্পতিবার ২০২ জন ভারতীয় মেঘালয়ের দকি চেকপোস্ট হয়ে ভারতে ফিরেছিলেন। আর শুক্রবার আরও ২৬০ জন ভারতীয় বাংলাদেশ থেকে ফিরলেন নিজের দেশে। এখনও পর্যন্ত ৪০৫ জন ভারতীয় পড়ুয়া এদেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। ফিরে আসা সেই সব পড়ুয়াদের মধ্যে ৮০ জন মেঘালয়ের বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার ভারতীয় আছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৫০০ জন পড়ুয়া। 

সূত্রের খবর, ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছেছেন। তাঁদের সঙ্গে নেপালের কয়েকজন পড়ুয়াও ছিলেন। পরে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে থাকে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজে ৩৬ জন পড়ুয়া আটকে রয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ফেরানোরও চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। 

চাকরিতে সব ধরনের সংরক্ষণ বাতিল করার দাবি নিয়ে পথে নেমেছে ছাত্রসমাজ। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের জন্যও কিছু সংরক্ষণ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। বলা হয়, মোট নিয়োগের ৪০ শতাংশ হবে মেধার ভিত্তিতে। বাকি ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারী এবং ১০ শতাংশ নিয়োগ জেলার বাসিন্দাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। নিজের অধিকার আদায়ের জন্যেই রাস্তায় নেমেছিল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। 

আরও পড়ুন, Bangladesh Quota Andolon | AfranNisho: ‘লাল-সবুজের পতাকা আজ কেন এতো লাল’?

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *