জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে সাদা পতাকা দেখাল পাকিস্তান। সংঘর্ষবিরতি চুক্তিতে রাজি হল ভারত ও পাকিস্তান। যে দেশ মাত্র ৪ দিন লড়াই করার ক্ষমতা রাখে সেই দেশের শেষপর্যন্ত বাস্তববুদ্ধির উদয় হল। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রি বলেন, পাকিস্তানের ডিজিএমও বিকেলে ফোন করেন ভারতের ডিজিএমওকে। তার পরই সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দুদেশ। তবে ট্রাম্প আগেভাগেই দাবি করে বসেন, রাতভর আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ভারতীয় সেনার তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, পাকিস্তান যেভাবে দুঃসাহস দেখিয়েছে তা শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে পাকিস্তান যদি ফের এরকম করে তাহলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। এমনটাই মন্তব্য করেন কমোডর রঘু আর নায়ার।
রঘু নায়ার বলেন, বিদেশ সচিব বলেছেন জল, স্থল ও আকাশে সব সেনা তত্পরতা বন্ধ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। ভারতীয় সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনাকে তা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
ওই সাংবাদিক সম্মেলনে উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং বলেন, ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান সেনার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তানের এয়ার বেস কার্দু, জ্যোকোবাবাদ ও ভোলারির প্রবল ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তানের রেডার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
ভারতের প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান পশ্চিম সীমান্তে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। তার পাল্টা হিসেবে ভারতের এস ৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশেই ধ্বংস করে দেয় ওইসব ড্রোন। সেনার সাংবাদিক সম্মেলনে, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ভারতীয় সেনা কোনও ধর্মীয় স্থানে আঘাত করেনি। ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে। প্রথমত, পকিস্তান দাবি করেছিল তা আমাদের এস ৪০০ এয়ার ডিফেন্স ও ব্রহ্মস মিসাইলের বেস ধ্বংস করে দিয়েছে তার জেএফ ১৭ জেট দিয়ে। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। দ্বিতীয়ত, ওরা দাবি করেছিল সিরসা, জম্মু, পাঠানকোট, ভিটিন্ডা, নালিয়া ও ভূজে তার আমাদের এয়ার স্ট্রিপ ধ্বংস করে দিয়েছে। এই দাবি একেবারে মিথ্যে। তৃতীয়ত, পকিস্তান দাবি করেছিল চণ্ডীগড়ে ও বিয়াসে ওরা আমাদের অস্ত্রাগার ধ্বংস করে দিয়েছে। ওই দাবিও মিথ্যে।
আরও পড়ুন-পড়শিকে বিপদে ফেলব না! ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে এবার ভারতের পাশে এই দেশও…
আরও পড়ুন-সংঘর্ষবিরতি! ভারতবিক্রমে আস্ফালন শেষ পাকিস্তানের…
উল্লেখ্য, আজই এক প্রেস বিবৃতিতে বিদেশ দফতরের তরফে বলা হয় সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসছে পাক সেনা। পাশাপাশি শ্রীনগর, অবন্তীপোরা ও উধমপুরে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হামলা চালিয়েছে। সেই কথাকে সমর্থন করে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ওরা পঞ্জাবের দিকে রাত ১.৪ নাগাদ মিসাইল ছুড়েছিল। তার যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম সীমান্তে হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তান, ড্রোন, দূরপাল্লার অস্ত্র ও জেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ভারতের সেনা সব দিক থেকে তৈরি রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, দেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)