Bangladesh: কাঠগড়ায় সেই হাসিনাই! দেশবাসীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান ইউনূসের!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ধুলিসাত্ ধানমুন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি, এমনকী শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনও! দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নাগরিকদের কাছে আহ্বান জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস করা এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা বা অন্য কোনও অজুহাতে দেশের কোনও নাগরিকদের উপর আক্রমণ করা যাবে না’।
আরও পড়ুন: Bangladesh | Awami League: বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত!
ইউনূস বলেন, ‘শেখ হাসিনা বছরের পর বছর জনগণের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। বিক্ষোভকারী ও তাঁদের আত্মীয়স্বজনরা বছরের বছর শেখ হাসিনার নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে’। তাঁর অভিযোগ, ‘ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নিলেও তাঁর দলের সন্ত্রাসীদের একত্র করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাইছেন। বাংলাদেশে পুর্ননির্মাণে লাগাতার বাধা দেওয়া দিতে চাইছেন’।
ইউনূসের কথায়, ‘তা সত্ত্বেও সরকার দেশের সকল নাগরিককে আইন মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে। এতে করে আমরা নিজেদেরকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে পুরনো বাংলাদেশ থেকে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একসাথে কাজ করছি। আইন মেনে চলার মধ্য দিয়েই সেটি আলাদা হবে। আসুন, আমরা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার অনুভূতি ক্ষুণ্ন না করি। আইনের প্রতি যে কোনও অবজ্ঞা নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির জন্য হুমকিস্বরূপ’।
স্রেফ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা নয়, গত বছরের অগস্ট মাসে প্রবল ছাত্র বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশ ছাড়তে হয় হাসিনাকে। ইউনূস বলেন, ‘রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের বিজয়ীদের নিশ্চয়ই এমন কিছু করা উচিত হবে না যা দেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং স্বৈরাচারী হাসিনার আমলের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়’।
ইউনূস জানান, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এই গুরুতর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন।আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সকল বাংলাদেশির জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য সরকার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কাজ করছে। সম্পত্তি ধ্বংস, ব্যক্তির ওপর আক্রমণ কিংবা কোনও ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অবিলম্বে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী যে কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সরকার বিচারের আওতায় আনবে’।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধানের বার্তা, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের নেতারা দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে ফেলে গিয়েছে। যতক্ষণ আমরা সতর্ক থাকব এবং নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বজায় রাখব, ততক্ষণ তাদের ফিরে আসার আর কোনও সুযোগ নেই। তাদের সম্পত্তিতে যেকোনও আক্রমণকে তারা আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করার এবং তাদের বানোয়াট গল্প প্রচার করার সুযোগ হিসেবে নেবে’।
আরও পড়ুন: Asteroid Bennu: ‘বেনু’র ধাক্কায় ‘ধ্বংস’ হবে পৃথিবী? সাল উল্লেখ করে বিজ্ঞানীরা দিলেন ভয়ংকর পূর্বাভাস!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)