# Tags
#Blog

‘ইউনূস আর ইউনূসের বোন মমতা, দু’টোই জামাত শিবির’, তীব্র আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু

‘ইউনূস আর ইউনূসের বোন মমতা, দু’টোই জামাত শিবির’, তীব্র আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু
Listen to this article


কলকাতা : বাংলাদেশে বর্বর অত্য়াচারের শিকার হিন্দুরা। বেছে বেছে তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। কিন্তু, পদ্মাপাড়ের নৃশংসতা নিয়ে গঙ্গাপাড়ে তেমন চোখে পড়ার মতো প্রতিবাদ কোথায় ? যে বামেরা ইরাক থেকে ইজরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদে পথে নামে, এখন তাদের মুখে টুঁ শব্দ নেই কেন ? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে অবশ্য পথে নেমেছে বিজেপি। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসে গিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর মুক্তির দাবি জানিয়ে এসেছে বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল। মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে। ভিসা-আমদানি-রফতানি বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল কেন চুপ রয়েছে ? কেন কিছু বলছে না ? এনিয়ে বিজেপির তোলা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে এবার একযোগে নিশানা শানিয়ে শুভেন্দু বললেন, “ইউনূস আর ইউনূসের বোন মমতা, দু’টোই সমান। দু’টোই জামাত শিবির। তালিবান ইউনূস, আর তালিবান ইউনূসের বোন মমতা…দুটোই জামাত শিবির।”

ISKCON সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। রংপুর, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা দিকে দিকে জ্বলছে আগুন। যার আঁচ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে কেন নীরব মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এদিন অবশ্য এই ইস্যুতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথমত এটা রাজ্যের বিষয় নয়। দেশের বিষয়। আন্তর্জাতিক বিষয়। আন্তর্জাতিক বিষয় হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয় যেহেতু, মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারকে জনাদেশ দিয়েছে। আমরা আমাদের দলের অবস্থান একাধিকবার স্পষ্ট করেছি। যে কোনও আন্তর্জাতিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে অবস্থান নেবে, সেটাকে দলগতভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করবে দেশের স্বার্থে। কিন্তু, যে ঘটনা ঘটেছে একেবারে সমর্থনযোগ্য নয়। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়। আমি এতটুকু বলতে পারি।”

তৃণমূল যখন এই যুক্তি দিচ্ছে তখন অধীর চৌধুরী আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় কী বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “যদি কোনও সহযোগিতার দরকার হয়, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। কারণ, ওটা একটা আলাদা দেশ। যা বলার ভারত সরকার বলবে। আমি বলতে পারি না। কিন্তু, আমি এটুকু বলতে পারি, অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজায় খটখটানি করে, আমরা তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেব।” অধীর চৌধুরীর প্রশ্ন, তখন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মুখ খুলতে পারলে, এখন হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে তিনি চুপ কেন ?

ওপার বাংলার উত্তপ্ত পরিস্থিতি ঘিরে, তপ্ত এবার বাংলার রাজনীতি।

 

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal