কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও শিবু পাল, কলকাতা : আর জি কর-কাণ্ডে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জেরে, তাঁর কাছে পুলিশের সমন গেছিল। মঙ্গলবার সেই পোস্ট ডিলিট করলেও, অবস্থানে অনড় তৃণমূলের রাজ্য়সভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। বললেন, অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ করা যায় ? তাঁর কথায়, ‘আমি তো একটা অসামাজিক জীব নই, যে সমাজে একটা ঘটনা ঘটবে, আর আমি দেখেও চোখ বন্ধ করে থাকব, অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ করা যায় নাকি ?’ Sukhendu Sekhar Roy
আরজি করকাণ্ডে মুখ খোলার জেরে একাধিকবার তলব করেছে পুলিশ। গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়েছেন।দলের একাংশের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের কড়া অবস্থান থেকে সরতে নারাজ তৃণমূলের তিনবারের রাজ্য়সভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, আগামী দিনে কি তিনি পাশে থাকবেন ? এ প্রসঙ্গে সুখেন্দুশেখর রায়ের বক্তব্য, ‘আমি প্রথম দিন থেকে আজ অবধি যে কথা বলেছি যে মানুষের সংগ্রামে আমি পাশে আছি, থাকব এবং পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই মানুষের আন্দোলন থেকে ন্য়ায় এবং সত্য়ের পথ থেকে আমাকে কেউ বিচ্যুত বা বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।’
প্রাক স্বাধীনতার রাতে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির সমর্থনে নিজের বাড়ির সামনেই মঞ্চ বেঁধে ধর্নায় বসেন সুখেন্দুশেখর রায়। এরপর কয়েক ধাপ এগিয়ে নিজের দলেরই সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে সরাসরি কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার দাবি তোলেন এই রাজ্য়সভার সাংসদ। যিনি তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকও।
সুখেন্দুশেখর বলেন, ‘আমি আমার ৫৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনও এমন সার্বিক প্রতিবাদ দেখিনি। যেখানে মানুষ কোনও রাজনৈতিক পতাকা হাতে না নিয়ে, স্বাধীনতার মধ্যরাতে তাঁরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে এরকম একটা ঘটনার প্রতিবাদ করছেন…আমরা মানুষকে বুঝতে ভুল করি। এবং তার জন্য মাঝে মধ্য়ে গণ বিস্ফোরণ হয়ে যায়। আমি তো অবিচল।’
সোশাল মিডিয়ায় যে পোস্টের জন্য় কলকাতা পুলিশ তাঁকে তলব করে এবং তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সেই মামলায় মঙ্গলবার পোস্ট ডিলিট করতে রাজি হন সুখেনদুশেখর রায়।
আরও পড়ুন ; ছুটতে ছুটতে CGO কমপ্লেক্সে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে ‘ধাক্কা’ দিয়ে CBI-এর কাছে কলকাতা পুলিশের ASI !
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও দেখুন