জাল ওষুধ তৈরি হচ্ছে কোথায়? এবার তাঁর খোঁজে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল

<p><strong>কলকাতা:</strong> ভবানীপুর থেকে আমতা, সরকারি দফতরের অভিযানে জাল ওষুধের গোডাউন তো সামনে আসছে। কিন্তু জাল ওষুধ তৈরি হচ্ছে কোথায়? কোথায় কোথায় গড়ে উঠেছে মারণ ওষুধের কারখানা? রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, এবার তার সন্ধানেই অভিযানে নামতে চলেছে তারা। কোন কোন ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে জাল ওষুধ পৌঁছেছে, আমতা থেকে ধৃত ওষুধ ব্যবসায়ীকে জেরা করে তাও জানার চেষ্টা চলছে।<u><br /></u><br />সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্য়ান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা CDSCO-র অভিযানে, খাস কলকাতায়, ভবানীপুরের গোডাউন থেকে আগেই উদ্ধার হয়েছিল ৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ। আর বৃহস্পতিবার রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের অভিযানে হাওড়ার আমতা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ, যার সিংহভাগই হল প্রেশারের অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের। আর এই সব দেখে ঘুম ছুটেছে সাধারণ মানুষের। দিনের পর দিন সুগার, প্রেশারের মতো যে সব ক্রনিক সমস্যার ওষুধ কিনে কিনে খাচ্ছেন, তা আদৌ আসল নাকি নকল? ওষুধ খেয়ে লাভের বদলে ক্ষতি হচ্ছে না তো? চিকিৎসক অজয় সরকার বলছেন, "এই ধরনের ওষুধ জাল হওয়া বিপজ্জনক। রোগীদের অসুবিধা, ডাক্তাররাও বিড়ম্বনায় পড়েন। ওষুধ ঠিক না হলে অঙ্গ প্রভাবিত হবে। মাথা, হার্ট, কিডনি প্রভাবিত হবে।”<br /><br />রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফেই তাঁদের কাছে কিউ আর কোড জালিয়াতির মাধ্যমে ওষুধ জাল করার অভিযোগ আসে। তাতে বলা হয়, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ বিভিন্ন জায়গায় ওষুধ জাল হচ্ছে। অর্থাৎ, রাজ্যের জেলায় জেলায় বিছিয়ে জাল ওষুধের জাল। জয়েন্ট প্ল্য়াটফর্ম অফ ডক্টর্সের যুগ্ম আহ্বায়ক পুণ্যব্রত গুঁই বলেন, "শুধু কেন্দ্র নয়, সবাই যুক্ত। কেন্দ্র লাইসেন্স দেয় ঠিকই। রাজ্য সরকারেরও দায়িত্ব নজরদারি চালানো।”<u><br /></u><strong><br /></strong>হাওড়ার আমতায় মান্না এজেন্সির গোডাউন থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, নামী কোম্পানির প্রেশারের ওষুধের QR কোড জাল করে চলছিল চক্র। ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ওই সংস্থার মালিক বাবলু মান্নাকে। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, মান্না এজেন্সির ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার ওষুধের লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ফলে বাজারে ওই সংস্থার এখনও ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার ভেজাল ওষুধ রয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, জাল ওষুধের গোডাউনের হদিশ পাওয়ার পর এবার জাল ওষুধ তৈরির কারখানায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে তারা। আমতা থেকে ধৃত ওষুধ ব্যবসায়ীকে জেরা করে কোন কোন ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে জাল ওষুধ পৌঁছেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। </p>
<p><strong>আরও পড়ুন: <a title="Tangra News Update: এক সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনা, পায়েসে ওষুধ মেশালেও হয়নি কাজ, ট্যাংরার বাড়িতে কী ঘটেছিল সেই রাতে?" href="https://bengali.abplive.com/district/tangra-news-update-details-of-that-night-what-happened-to-them-and-their-planning-1121628" target="_self">Tangra News Update: এক সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনা, পায়েসে ওষুধ মেশালেও হয়নি কাজ, ট্যাংরার বাড়িতে কী ঘটেছিল সেই রাতে?</a></strong></p>
Source link