কলকাতা : ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ! ‘ভেঙে পড়েছে রাজ্যের অর্থনীতি’, এই মন্তব্য করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানালেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (West Bengal Governor CV Ananda Bose)। বাংলায় প্রকল্পের টাকা অন্য খাতে খরচ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
রাজ্যপাল বলেন, “সরকার ভারতের সংবিধান মেনে চলছে কি না তা দেখা কাজ রাজ্যপালের। আমি দেখতে পাচ্ছি যে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অনেক ত্রুটি রয়েছে। এটি এমন একটি মতামত যা সরাসরি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের মতো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বিশ্লেষণ থেকে এসেছে। আমি দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই যে পশ্চিমবঙ্গে আর্থিক মন্দা চলছে। তহবিল সরানো হচ্ছে, দারিদ্র দূরীকরণের জন্য তহবিল অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি একটি শ্বেতপত্র চেয়েছি, কারণ আমি রাজ্যে আর্থিক ভাঙন দেখতে পেয়েছি। রাজ্যে আর্থিক অবস্থার বাস্তবিক অবস্থান দেখতে চাই। সাংবিধানিকভাবে, রাজ্যপাল যোগ্য এবং প্রশাসনের যে কোনও দিক সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে তথ্য চাওয়া রাজ্যপালের দায়িত্ব। রাজ্যপালকে এই ধরনের তথ্য দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক…আমি এর জন্য অপেক্ষা করব। যদি আসে ভাল। যদি না আসে, তবে এর জন্য আমার কাছে উপায় আছে…।”
#WATCH | Delhi: West Bengal Governor Dr CV Ananda Bose says, “It is the Governor’s duty to oversee that the functioning of the government is within the constitution of India…I find that there are a lot of loopholes in the financial management of West Bengal. This is an opinion… pic.twitter.com/0fhoPQuEdo
— ANI (@ANI) August 4, 2024
এনিয়ে অবশ্য জবাব দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘ফিনান্সিয়াল ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে তথ্য দিতে বাধ্য নন। রাজ্য সরকার চালানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত। তাঁকে সহযোগিতা করতে বাধ্য রাজ্যপাল। রাজ্যপাল আজ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক জনহিতকর কাজ করেছেন, তাহলে বিজেপির হয়ে বলুন তিনি। রাজ্যপালকে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি এটাই ভুলে গেছেন। বিজেপির ধামা ধরে ধরে উনি ভুলে গেছেন যে, রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি। প্রধানমন্ত্রীর নন। সি ভি আনন্দ বোস সবসময় মনে করছেন মোদি ওঁকে পাঠিয়েছেন। উনি মনে করছেন, বিজেপির সুরে কথা বলতে হবে। শ্বেতপত্র চাইতে হবে। এটাই সি ভি আনন্দ বোসের সবথেকে বড় কথা যে তিনি বিজেপির এজেন্ট হিসাবে নিজেকে বারবার প্রমাণ করছেন। সমস্ত কাজে নির্বাচিত সরকারকে কীভাবে ব্রিবত করা যায় সেদিকে নজর। সেটা করছেন বিজেপির এজেন্ট হিসাবে। আমরা তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও দেখুন