দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায় , RG Kar মামলায় রায় ঘোষণার পর কী প্রতিক্রিয়া নির্যাতিতার বাবা-মায়ের
![দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায় , RG Kar মামলায় রায় ঘোষণার পর কী প্রতিক্রিয়া নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায় , RG Kar মামলায় রায় ঘোষণার পর কী প্রতিক্রিয়া নির্যাতিতার বাবা-মায়ের](https://i2.wp.com/feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2025/01/18/81732db66d2562813ef16b44efc4b04b1737208557692170_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&w=991&resize=991,564&ssl=1)
কলকাতা : আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশর সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদা জেলা দায়রা আদালত। ১৬২ দিনের মাথায় রায় দিলেন শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস। সোমবার দোষী সাব্য়স্ত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করবে আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়ে দেন, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সর্বনিম্ন শাস্তি ২৫ বছর বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। রায় ঘোষণা পর এদিন নির্যাতিতার বাবা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “বিচারক যেভাবে আমাদের ব্যাপারটাকে দেখেছেন, সেজন্য ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা বিচারের প্রথম সিঁড়ি পার করেছি।”
নির্যাতিতার বাবার কথায়, “আমরা বিচারের প্রথম সিঁড়ি পার করেছি। আমরা যাতে দ্বিতীয় সিঁড়িতে উঠতে পারি সেধরনের বিচার উনি দেবেন, এই বিশ্বাস আমাদের ছিল । তিনি সেটা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। সোমবার দিন সেই জাজমেন্ট দেবেন। বিচারককে ধন্যবাদ দেওয়ার আমার ক্ষমতা নেই। বিচারক যেভাবে আমাদের ব্যাপারটাকে দেখেছেন, সেজন্য ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ। সঞ্জয় রায়ের যেদিন সাক্ষী নেওয়া হয়েছিল সেদিনও বলেছিল। সঞ্জয় দোষী হলে সন্তুষ্ট-অসন্তুষ্টের কোনো ব্যাপার নেই। কারণ, আমার মেয়ে আর কোনও কিছুতেই ফিরে আসবে না। আমার যা গেছে সেটা আমরাই গেছে। সবাই আমাদের সহযোগিতা করছেন এবং বিচারটা ভালোভাবে পাইয়ে দেওয়ার জন্য যে চেষ্টা করছেন, তারজন্য সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হোক। সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। আমরা তার মৃত্যুদণ্ডই চাইছি।”
অন্যদিকে নির্যাতিতার মা বলেন, “আমরা মনে করছি, এখনও আরও অনেক দোষী বের হবে। তদন্ত হবে, বিচার-প্রক্রিয়া হবে। দোষী ধরা পড়বে। এখনই বিচার-প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে না। তদন্তও শেষ হয়ে যাবে না। চলবে। কারো হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সবাই…যারা আসল দোষী তারা ধরা পড়বে।”
এদিকে অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারকের রায় ঘোষণার পর চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের দাবি, ‘আমি কিছু করিনি’। ফের নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়। সঞ্জয়ের দাবি, তার গলায় যে রুদ্রাক্ষের মালা ছিল, তা ছিঁড়ল না কেন ? তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে ফের দাবি করে সঞ্জয়। বিচারক তখন বলেন, ‘CBI তদন্তে যা পেয়েছি, তাতে মনে হয়েছে আপনিই দোষী, সোমবার আপনার কথা শুনব।’
আরও দেখুন