# Tags
#Blog

এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের জের, সমস্ত হাসপাতালকে এই নির্দেশ পাঠাল স্বাস্থ্য ভবন

এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের জের, সমস্ত হাসপাতালকে এই নির্দেশ পাঠাল স্বাস্থ্য ভবন
Listen to this article


কলকাতা : এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের জের। সমস্ত হাসপাতালকে নির্দেশ পাঠাল স্বাস্থ্য ভবন। অভিযুক্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি ওষুধ ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। যতক্ষণ না তদন্ত শেষ হচ্ছে এবং ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট আসছে ততক্ষণ ব্যবহার করা যাবে না ওই সংস্থার ওষুধ । স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশ গেল সমস্ত সরকারি হাসপাতালের কাছে। নির্দেশ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা অনিরুদ্ধ নিয়োগীর।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের MSVP সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কাছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে এই মর্মে একটি নোটিস এসেছে। একটি কোম্পানি যারা স্ক্যানারে রয়েছে, আমি নোটিস করে প্রত্যোকটি ওয়ার্ডের এইচওডি ও সিস্টার ইন-চার্জ এবং সব মেডিক্যাল স্টাফকে নির্দেশ দিয়েছি, ওই প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যাবে না। ১০টি যে প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যাবে না, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছি। মোট ১০টি জিনিস আর জি করে সরবরাহ হয়, সেগুলো স্টকে থাকলেও ব্যবহার করা যাবে না বলে দিয়েছি। এগুলো আমরা আপাতত আর জি করে পুরোপুরি বন্ধ করে দিলাম। এগুলো অন্য জায়গা থেকে নিচ্ছি। রোগীদের কোনও অসুবিধা হবে না।” 

বিতর্কের সূত্রপাত-

মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং আরও চার প্রসূতির গুরুতর অসুস্থ হওয়া নিয়ে গতকাল বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় ব্য়বস্থা। অভিযোগ, যে স্য়ালাইন ব্য়বহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল স্বাস্থ্য় দফতর, সেই স্য়ালাইন প্রয়োগের পরই, প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরের দিনই মৃত্য়ু হয় তাঁর। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই যে মৃত্য়ু, সূত্রের খবর, মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের রিপোর্টেও তার উল্লেখ রয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজে, সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন চন্দ্রকোণার বাসিন্দা মামণি রুইদাস। পরিবারের অভিযোগ, স্য়ালাইন দেওয়ার পরই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্য়ু হয়।

মারাত্মক অভিযোগ প্রসঙ্গে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজের তরফে স্বাস্থ্য় দফতরে যে রিপোর্ট, দেওয়া হয়েছে তা রীতিমতো চাঞ্চল্য়কর ! সূত্রের দাবি, রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্য়াল’ নামে ওই কোম্পানির স্য়ালাইন ব্য়বহারের ফলেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। প্রসূতিদের রক্তক্ষরণ বন্ধে ব্য়বহার করা হয় ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন’। সেই ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনে’র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। 

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal