# Tags
#Blog

১০ জানুয়ারি শুরু গঙ্গাসাগরমেলা, বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে জল সীমানায় নজরদারি বাড়াল পুলিশ

১০ জানুয়ারি শুরু গঙ্গাসাগরমেলা, বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে জল সীমানায় নজরদারি বাড়াল পুলিশ
Listen to this article


গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সাগরমেলা (Sagarmela)। বর্তমানে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের জল সীমানায় নজরদারি বাড়াল জেলা পুলিশ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সুন্দরবন জল সীমানা প্রায় ১৫০ কিমি দীর্ঘ। বঙ্গোপসাগরে উপকূল রক্ষী বাহিনী ও নৌ বাহিনীর পাশাপাশি সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকেও বঙ্গোপসাগর ও নদীতে এফআইবি দিয়ে সার্চিং অপারেশন ও পেট্রলিং চলছে। গোবর্ধনপুর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, সাগরে এই পেট্রলিং চলছে। মৎস্যজীবী ট্রলারেও তল্লাশি চলছে। মৎস্যজীবীদের বৈধ পরিচয়পত্র, লাইসেন্স খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জলপথে অচেনা কিছু চোখে পড়লে পুলিশকে খবর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের। সাগরমেলার জন্য জলপথের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুন। উপকূল রক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী, বিএসএফের সঙ্গে  সমন্বয় রেখে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে।

নানা বয়সের নানা মুখ, নানা ভাষা। পুণ্যলাভের আশায় ফি বছর গঙ্গাসাগরে হাজার হাজার মাইল ছুটে আসে ভক্ত, সন্ন্যাসী, দেশি-বিদেশি অতিথিদের দল। সব মিলিয়ে একাকার এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে। যেন এক টুকরো এক ভারত। 

সাগরে স্নানের পাশাপাশি, কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেবেন পুণ্যার্থীরা। প্রত্যেক বছরই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় মেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকাকে। একাধিক পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়। আকাশপথে ও জলপথে চলে নজরদারি। উপকূলরক্ষী বাহিনী, NDRF, সিভিল ডিফেন্স ছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয় ভারতীয় নৌ বাহিনীকে। ড্রোন ওড়ানোর পাশাপাশি, স্পিড বোট ও হোভার ক্রাফটে চড়ে টহল দেয় পুলিশ ও নৌ-সেনা।

তবে এবার পরিস্থিতি আলাদা। বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও সে দেশে ক্রমাগত ভারত বিদ্বেষের বিষ এ রাজ্যে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় রাজ্য প্রশাসন।

পুরাণ মতে, সাগর রাজার মৃত ৬০ হাজার সন্তানকে জীবন ফিরিয়ে দিতে তাঁর নাতি ভগীরথ মর্ত্যলোকে গঙ্গাকে নিয়ে এসেছিলেন। তাই মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গা এবং সাগরের সঙ্গমে স্নান করলে অসীম পুণ্যলাভ হয় বলে বর্ণিত হয়েছে পুরাণে। পুরাণ মতে, এই তিথিতেই ভগীরথের পিছু চলতে চলতে কপিল মুনির আশ্রম হয়ে সাগরে মিশে যান গঙ্গা। তাই এই উপলক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়। কপিল মুনির আশ্রমে লক্ষ লক্ষ ভক্তদের সমাগম ঘটে। 

আরও পড়ুন: সিডনি টেস্টের দল থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে রোহিত শর্মাকে? কোচ গম্ভীর যা বললেন…

 

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal