জেলা সফরে যমুনা, বান্দোয়ানের জঙ্গলে পাড়ি সিমলিপালের বাঘিনীর
<p><strong>অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: </strong>ঝাড়গ্রাম ছেড়ে পুরুলিয়ায় পাড়ি ওড়িশার বাঘিনী যমুনার। সকালের গতিবিধি ধরা পড়েছে বান্দোয়ানের জঙ্গলে। কাছেই পর্যটন কেন্দ্র। সতর্ক বন দফতর এবং পুলিশ।</p>
<p><strong>পুরুলিয়ায় পাড়ি ওড়িশার বাঘিনীর:</strong> জেলা সফরে যমুনা। ঝাড়গ্রাম ঘুরে এবার পুরুলিয়ায় চলে গেল ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গল থেকে পালিয়ে আসা বাঘিনী। গলায় পরানো রেডিও কলার ট্র্য়াক করে জানা গেছে, রবিবার সকালে তার অবস্থান বান্দোয়ানের জঙ্গলে।বন দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া জেলা পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। কাছেই দোয়ারসিনি পর্যটন কেন্দ্র। ফলে বাড়তি সতর্ক রয়েছে পুলিশ। বাঘের জন্য খাঁচা পাতা হয়েছে। জঙ্গলপথে ১০-১২ কিলোমিটার দূরেই ঝাড়খণ্ড সীমানা। ফলে ঝাড়খণ্ডের বন দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।</p>
<p>১১ দিন আগে ওড়িশার সিমলাপালের জঙ্গল থেকে পালায় মহারাষ্ট্র থেকে আসা দুই বাঘিনী, জিনাত ও যমুনা। ঝাড়খণ্ডে খোঁজ মেলে জিনাতের। যমুনা পাড়ি দেয় বাংলায়। শুক্রবার বেলপাহাড়ির শিমুলপালে কটাচুয়ার জঙ্গলে তার খোঁজ মেলে। দিনভর ওই এলাকায় থাকলেও, সন্ধের পর কাঁকড়াঝোড়ের ময়ূরঝর্নার জঙ্গলে পৌঁছয় বাঘিনী। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কাঁকড়াঝোড়ের জুজুরধারা গ্রামের কাছে অবস্থান জানা গেলেও বাঘিনীকে চোখে দেখা যায়নি। ঘুম ছোটে গ্রামবাসীদের। এবার বাঘের আতঙ্ক বান্দোয়ানে। </p>
<p>বন দফতর ও পুলিশের পাশাপাশি, এবার ঝাড়গ্রামে বাঘের খোঁজে নেমেছে আধা সামরিক বাহিনী। CRPF-এর ১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা গতকাল থেকেই কাঁকড়াঝোড়ের বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ শুরু করেছেন। সঙ্গে রয়েছে CRPF-এর স্নিফার ডগ ‘গোল্ডি’। বেলজিয়ান প্রজাতির এই স্নিফার ডগ শক্তিশালী বিস্ফোরক IED খুঁজতে যেমন সক্ষম, তেমনই ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও হাতি, বাঘ, সিংহের মতো বন্যপ্রাণী থাকলে, তারও হদিশ দিতে পারে। ঝাড়গ্রামে এখন পর্যটনের ভরা মরসুম। যেখানে বাঘিনী যমুনা রয়েছে বলে জানা গেছে, তার আশপাশে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে একাধিক হোম স্টে, রিসর্ট, হোটেল। আতঙ্কিত পর্যটকরা। </p>
<p><strong><u><em>আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। <a title="যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।" href="https://www.whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y/" target="_blank" rel="nofollow noopener">যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।</a></em></u></strong></p>
<p><strong>আরও পড়ুন: <a title="Tapsia Fire: আগুনের গ্রাসে শেষ জীবনের সঞ্চয়, হাহাকার তপসিয়ার মজদুর বস্তিতে" href="https://bengali.abplive.com/district/tapsia-fire-victim-reaction-after-losing-their-savings-1111630" target="_self">Tapsia Fire: আগুনের গ্রাসে শেষ জীবনের সঞ্চয়, হাহাকার তপসিয়ার মজদুর বস্তিতে</a></strong></p>
Source link